মেষ: পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
হাওড়া জেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র গাদিয়াড়া। রূপনারায়ণ ও হুগলী নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত এই পর্যটন কেন্দ্রের আশপাশে একাধিক গ্রামে কয়েক হাজার পরিবারের বাস। ভাঙন দেখা দিতেই এইসব গ্রামের বাসিন্দাদের রাতের ঘুম উড়েছে। সম্প্রতি গাদিয়াড়া মোড় থেকে টেটিখোলা যাওয়ার রাস্তায় গঙ্গাশ্রম খিরিশতলার কাছে ভাঙনের পাশাপাশি বাঁধের ১৫০ মিটার বসে যাওয়ায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গ্রামবাসীদের মতে, কয়েক বছর আগেও নদী ভাঙনের ফলে বসে গিয়েছিল এই রাস্তা। তখন সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে ভাঙা অংশে বালির বস্তা ফেলে অবস্থা সামাল দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের মতে, যেভাবে রাস্তা বসে গিয়েছে, তাতে এখনই মেরামত না করলে যে কোনওদিন বড় বিপর্যয় নেমে আসবে এবং প্লাবিত হবে গ্রামের পর গ্রাম।
এ নিয়ে হাওড়া জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ নদেবাসী জানা বলেন, নদীর পাড় ভাঙনের সমস্যাটি দীর্ঘদিনের। আমরা সেচ দপ্তরকে ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি।
নদীর পাড় বসে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন বাণেশ্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, বিষয়টি সেচ দপ্তরকে জানানো হয়েছে। এছাড়াও বসে যাওয়া অংশ মেরামত করতে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে একশো দিনের কাজে মাটি ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে সেচ দপ্তরের আধিকারিক রঘুনাথ চক্রবর্তী জানান, দপ্তরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বসে যাওয়া অংশে মাটি ফেলার পাশাপাশি সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে নদীর পাড় বাঁধানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। -নিজস্ব চিত্র