মেষ: পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
এক পুলকার মালিক বলেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত স্কুলগুলি স্বাভাবিক চলায় সেই মাসের টাকা অনেকেই মিটিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এপ্রিল মাস থেকে একটাও টাকা আমরা পাইনি। যাঁরা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে গাড়ি কিনেছেন, তাঁদের অবস্থা আরও খারাপ। কারণ লকডাউনে সব বন্ধ থাকলেও ব্যাঙ্কের ইএমআই তো আর বন্ধ নেই। কীভাবে চলবে আমাদের বা আমাদের কর্মচারীদের পরিবারগুলির? হাওড়া জেলা স্টুডেন্ট ক্যারিং পুলকার অ্যাসোসিয়েশনের আওতায় শহর ও শহরতলি এলাকায় এক হাজারের বেশি বাস, সুমো, ম্যাজিকভ্যান ইত্যাদি চলে। এই সংগঠনের সম্পাদক রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গাড়িগুলি এতদিন টানা বসে থাকার পর ফের চালু করতে গেলে কমপক্ষে চারটি চাকা, ব্যাটারি সহ কিছু যন্ত্রপাতি বদলাতে হবেই। এর উপর রয়েছে ইএমআই, কাগজপত্র ঠিকঠাক করে রাখতে নানা কর ও ফি। ফলে আমাদের নাস্তানাবুদ অবস্থা। তাঁর প্রশ্ন, স্কুল বন্ধ থাকলেও সেখানকার ফি কোনও কর্তৃপক্ষই পুরোপুরি মকুব করেনি। সেই সময় তো স্কুলের বিদ্যুৎ, জল সহ নানা খরচ একেবারেই হয়নি। তাহলে আমরাই কেন এই পরিস্থিতির বলি হব এভাবে! আমরাও আমাদের সংগঠনের তরফে অভিভাবকদের অন্তত ৫০ শতাংশ ভাড়া দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। এরকম হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পেয়েছেন সালকিয়ার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ সাহা। তাঁর মেয়ে লিলুয়ার একটি নামকরা বেসরকারি স্কুলে পড়ে। তিনি মঙ্গলাহাটের একজন ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, আমাদের তো হাট বন্ধ সেই মার্চ থেকেই। আমাদের কর্মচারীদের মাইনে দিতেই হাঁসফাঁস অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে পাল্টা বার্তা পাঠিয়ে তিনি তাঁর ‘অসহায়তা’র কথা জানিয়েও দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট পুলকার মালিককে।