মেষ: পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
রাজ্যে প্রতি বছর বনসৃজন উপলক্ষে প্রতিটি ব্লকেই ভালো সংখ্যায় বৃক্ষরোপণ করা হয়। যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, সরকারি উদ্যোগে গাছ লাগানোর পর এলাকার মানুষ সেদিকে লক্ষ্য না রাখায় অনেক ক্ষেত্রে গাছ মরে যায়, আবার গ্রামাঞ্চলে অনেক গাছ গোরু-ছাগলে খেয়ে যায়। ফলে সরকারের এই উদ্যোগ শুরুতেই ধাক্কা যায়। গাদিয়াড়াতেও বনসৃজন উপলক্ষে প্রচুর গাছ লাগানো হয়। বিশেষ করে নদী বাঁধের মাটি ধরে রাখতে গাদিয়াড়া মোড় থেকে টেটিখোলা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বৃক্ষরোপণে জোর দেওয়া হয়। সরকারি উদ্যোগে লাগানো গাছ গোরু-ছাগলের হাত থেকে বাঁচাতে অভিনব উদ্যোগ নিল শ্যামপুর ব্লক প্রশাসন। সূত্রের খবর, যদি গোরু-ছাগলে গাছ খেয়ে যায়, তাহলে সেই পশুদের বিডিও অফিসে এনে জমা করা হবে, এই মর্মে বাণেশ্বরপুর ১নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সতর্ক করে নোটিস বোর্ড টাঙানো হয়েছে। এই ধরনের বোর্ড লাগানোয় খুশি সাধারণ মানুষ। তাঁদের মতে, প্রতি বছর প্রচুর টাকা খরচ করে গাছ লাগানোর পর গ্রামবাসীদের অনেকের পোষা গোরু-ছাগল গাছ খেয়ে নষ্ট করে ফেলে।
এই প্রসঙ্গে বাণেশ্বরপুর ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আব্দুর রহমান বলেন, বনসৃজন উপলক্ষে আমরা প্রতি বছর প্রচুর গাছ লাগাই। এবারেও প্রচুর গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে উম-পুনের তাণ্ডবে প্রচুর গাছ পড়ে যাওয়ায় শুধু এই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় চার হাজার গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছি। এই গাছগুলি যাতে গোরু-ছাগলে খেয়ে না যায়, সেই লক্ষ্যেই এই বোর্ড লাগানো হয়েছে।