মেষ: পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বহুতল নির্মাণের সময় নতুন ফ্লোর তোলার সময় এনওসি না নিলে কাজ এগনো যাবে না। নো অবজেকশন সার্টিফিকেট নেওয়ার পরই বাকি নির্মাণকাজ ফের করা যাবে। শুধু এটাই নয়, এরপরও নতুন কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে। আপাতত ‘রুল’ বদলের জন্য পুরসভার তরফ থেকে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরে ফাইল পাঠানো হবে। সেখানে সিলমোহর মিললেই নয়া নিয়ম কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, শহরের নানা প্রান্তে বারবার বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ ওঠে। গত এক বছর ধরে ‘টক টু মেয়র’ কিংবা ‘টক টু কেমসি’ অনুষ্ঠানে এমন বহু ফোনে জেরবার হতে হয়েছে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা বর্তমানে মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমকে। অভিযোগ পেলেই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। কিন্তু তা স্থায়ী সমাধান নয়। নিয়মের বাঁধনে যাতে নির্মাণকাজকে কঠোরভাবে আটকে দেওয়া যায়, সেই লক্ষ্যেই এবার ঝাঁপিয়েছে কলকাতা পুরসভা।
বর্তমানে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ এলে সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (এসএই) গিয়ে নির্মাণস্থল পরিদর্শন করেন। তারপর বেআইনি বুঝলে কাজ বন্ধ রাখার নোটিস লাগিয়ে দেন। সেইসঙ্গে তার এক কপি স্থানীয় থানা ও উচ্চপদস্থ পুর-কর্তাকে পাঠিয়ে দেন। গোটা প্রক্রিয়া তারপর রেগুলারাইজ হওয়া পর্যন্ত ওই নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে সম্প্রতি পুরসভার কাছে এই সংক্রান্ত বেশ কিছু অভিযোগ আসছে। বলা হচ্ছে, নোটিস দেওয়ার পরও স্থানীয় থানা ঠিকঠাক নজরদারি করছে না। ফলে নির্মাণকাজ বেআইনিভাবে চালিয়েই যাচ্ছেন প্রোমোটাররা। এই ধরনের প্রবণতা যাতে গোড়া থেকে ছেঁটে ফেলা যায়, সে জন্যই আরও কড়া বিধি নিয়ে আসতে চাইছেন ফিরহাদ।
বর্তমানে কি সেই ধরনের নজরদারির নেই? এক পুর-কর্তা লোকবলের সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন। বলেছেন, লোক পর্যাপ্ত সংখ্যায় না থাকায় সবসময় সঠিকভাবে নজরদারি করা যায় না। তার উপর নানা ধরনের রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক কারসাজি থাকে বলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক অভিযোগ করেছেন। পুরসভা সূত্রে খবর, দু’টি ওয়ার্ড পিছু একজন করে সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এবং কয়েকটি ওয়ার্ড মিলিয়ে একজন করে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, দুই ক্ষেত্রেই প্রায় ৩০-৫০ শতাংশ পদে লোক নেই। নতুন নিয়ম কার্যকর হলে সমস্যা অনেকটাই কমবে বলে মনে করছে পুর কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে হয়তো নির্মাণের ক্ষেত্রে খরচ কিছুটা বাড়বে। তবে নিশ্চিতভাবে শহরে বেআইনি নির্মাণ অনেকটা ঠেকানো যাবে।