আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
আবাসন নির্মাতাদের সংগঠন ক্রেডাইয়ের ওয়েস্ট বেঙ্গল চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট সুশীল মোহতা বলেন, শহুরে আবাসের জন্য সরকার যে একাধিক ঘোষণা করেছে, তা আবাসন শিল্পকে চাঙ্গা করবে। অন্যদিকে ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে বাড়ির মহিলাদের সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাঁরা ফ্ল্যাট কিনলে স্ট্যাম্প ডিউটিতে যে ছাড়ের প্রস্তাব রাখা হয়েছে, তা সদর্থক। মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট নমিত বাজোরিয়া বলেন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী খরচ বৃদ্ধির পাশাপাশি মধ্যবিত্তকে আর্থিক সুবিধা দেওয়া এবং কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা করেছেন এই বাজেটে। বণিকসভা আইসিসির দাবি, ভারতের মতো বৃহত্তর অর্থনীতিতে ভারসাম্য রাখা হয়েছে এবারের বাজেটে। ক্যালকাটা চেম্বার অব কমার্সের বক্তব্য, রাজস্ব ঘটাতি ৪.৯ শতাংশ রাখার পরিকল্পনা সদর্থক পদক্ষেপ। মুদ্রাঋণের ক্ষেত্রে সর্বাধিক সীমা ১০ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ লক্ষ টাকা করার প্রশংসা করেছেন ভারত চেম্বার অব কমার্সের প্রসিডেন্ট এন জি খৈতান। অন্যদিকে ইমামি গ্রুপের ডিরেক্টর আদিত্য ভি আগরওয়াল বলেন, এবারের বাজেটে ডাল এবং তৈলবীজের ক্ষেত্রে ভারতকে স্বনির্ভর হওয়ার যে দিশা দেখানো হয়েছে, তা শিল্পে সদর্থক প্রভাব ফেলবে। পর্যটনের ক্ষেত্রে পূর্ব ভারতের হেরিটেজ প্রকল্পগুলিকে আরও ঢেলে সাজার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সিআইআইয়ের পূর্বাঞ্চলের চেয়ারম্যান এসকে বেহেরা। সিআইআই ইন্ডিয়ান উইমেন নেটওয়ার্ক (ওয়েস্ট বেঙ্গল চ্যাপ্টার) সুজাতা গুঁইয়ের কথায়, মহিলাদের জন্য দু’লক্ষ কোটি টাকার যে প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে, তা সাধুবাদযোগ্য।
বণিকসভা ফিকির ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রুদ্র চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, আগামী পাঁচ বছরের জন্য পরিকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের দক্ষতা বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া হয়েছে এবারের বাজেটে। বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট গৌতম রায়ের বক্তব্য, কৃষিক্ষেত্রে ১.৫২ লক্ষ কোটি টাকা এবং গ্রামীণ উন্নয়নে ২.৬৬ লক্ষ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ ভালো পদক্ষেপ। তবে টিউসিসির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক শিবপ্রসাদ তেওয়ারির বক্তব্য, এই বাজেটে কর্মসংস্থানের স্বপ্ন দেখানো হয়েছে বটে। তবে তার বাস্তবায়ন কতটা হবে, তা ভবিষ্যৎই বলবে। ইএসআই এবং পিএফের ক্ষিত্রে বেতন সীমা বৃদ্ধির যে দাবি রয়েছে, তাকে তোয়াক্কা করা হয়নি বাজেটে। কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। আশা কর্মী ও অঙ্গনওয়াড়িদের জন্য কোনও ঘোষণা নেই।