আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
মরশুমের শুরুতেই ডিফেন্স নিয়ে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে কোচ হোসে মোলিনাকে। এদিনও সেই ডিফেন্সের ভুলেই শুরুতে পিছিয়ে পড়ে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ডুরান্ড কাপ ফাইনালে যেখানে শেষ করেছিল, সোমবার যেন ঠিক সেখান থেকেই শুরু করে নর্থইস্ট। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে শুভাশিসকে মাটি ধরিয়ে ডানদিক থেকে জিতিনের সেন্টারে আলাদিনের শট পোস্টে ধাক্কা খায়। তবে দু’মিনিট বাদেই প্রায় ২২ গজ দূর থেকে দুরন্ত শটে জাল কাঁপান বেমামের (১-০)। অবশ্য সমতায় ফিরতে খুব বেশি সময় নেয়নি মোহন বাগান। ১০ মিনিটে দিমিত্রির ফ্রি-কিক থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ দীপ্যেন্দুর (১-১)। এই গোলের পর গতিতে লাগাম টেনে ম্যাচের দখল নেওয়ার চেষ্টা করে কোচ মোলিনার দল। ঠিক তখনই ফের রক্ষণভাগে বিপর্যয়। ২৪ মিনিটে প্রতিপক্ষ বক্সে স্টুয়ার্টের শট প্রতিহত হতেই পাল্টা আক্রমণে ওঠে নর্থইস্ট। নিজেদের অর্ধ থেকে জিতিন গতি বাড়িয়ে সেন্টার লাইন অতিক্রম করে বল বাড়ান আলাদিনকে। ওয়ান টাচে তা দেওয়া নেওয়া করেই বাঁ দিক থেকে আড়াআড়ি শটে জাল কাঁপান এই মরক্কান মিডিও (২-১)। ম্যাচে দ্বিতীয়বারের জন্য পিছিয়ে পড়ে রীতিমতো দিশাহারা দেখায় মোহন বাগানকে। ৩৮ মিনিটে স্টুয়ার্টের কাছে সুযোগ এলেও, তাঁর শট গোললাইন সেভ করেন জাবাকো।
এদিন প্রথম একাদশে তিন বিদেশি রেখে দল সাজিয়েছিলেন মোলিনা। তবে সমতা ফেরানোর লক্ষ্যে ৫৯ মিনিটে কামিংসকে মাঠে নামান তিনি। সঙ্গে জুড়ে দেন সাহালকেও। এই জোড়া পরিবর্তনের পরেই ফের ঘুরে দাঁড়ায় মোহন বাগান। প্রবল বৃষ্টির মধ্যে স্টুয়ার্টের সেন্টার থেকে আলড্রেডের হেড শূন্যে লাফিয়েও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি নর্থইস্ট গোলরক্ষক গুরমিত। ফিরতি বল তিনি তালুবন্দি করার মুহূর্তে শুভাশিসের শট গোললাইন অতিক্রমণ করে (২-২)। ম্যাচের তখন ৬১ মিনিট। গোটা নর্থইস্ট দল ফাউলের দাবি জানালেও তাতে কর্ণপাত না করে গোলের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন রেফারি। এরপর জয়ের জন্য অল-আউট আক্রমণের পথ বেছে নেন কোচ মোলিনা। ৭৫ মিনিটে দিমিত্রির জায়গায় জেমি ম্যাকলারেনকে মাঠে নামান তিনি। প্রথমবারের জন্য সবুজ-মেরুন জার্সিতে খুব একটা সুযোগ অবশ্য পেলেন না অজি ফরোয়ার্ড। তবে ম্যাচের ৮৭ মিনিটে সাহালের পাস থেকে বাঁ পায়ের দুরন্ত প্লেসমেন্টে জাল কাঁপিয়ে জয়ের নায়ক হয়ে ওঠেন সুপার-সাব কামিংস (৩-২)। তাঁর বাঁ পায়ের ছোঁয়াতেই চলতি আইএসএলে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল মোহন বাগান।
মোহন বাগান: বিশাল, আশিস, দীপ্যেন্দু, আলড্রেড, শুভাশিস, অনিরুদ্ধ (সাহাল), আপুইয়া, মনবীর (কামিংস), স্টুয়ার্ট (দীপক), লিস্টন ও দিমিত্রি (ম্যাকলারেন)।
(দীপ্যেন্দু, শুভাশিস, কামিংস) (বেমামের, আলাদিন)