মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
হুয়ান ফেরান্দোর ছেলেদের দুর্দান্ত এই জয়ের নায়ক দু’জন। প্রথমজন গোলরক্ষক বিশাল কেইথ হলে অন্যজন অবশ্যই দিমিত্রি পেত্রাতোস। মরশুমের শুরু থেকেই দক্ষ স্কোরারের অনুপস্থিতি নিতে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল কোচকে। তবে অজি স্ট্রাইকারের উপস্থিতি অনেকটাই চাপ কমিয়েছিল স্প্যানিশ কোচের। ফাইনালেও পেনাল্টি থেকে জোড়া গোলে দলকে ভরসা জোগালেন তিনি। টাই-ব্রেকারেও লক্ষ্যভেদে ভূল হয়নি তাঁর। অন্যদিকে, ম্যাচের শেষ পর্বে অনবদ্য হয়ে উঠলেন কেইথ।
ম্যাচ শুরুর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই শিবাশক্তির চোট পেয়ে মাঠ ছাড়াটা অবশ্য বড় ধাক্কা বেঙ্গালুরুর জন্যে। বাধ্য হয়েই পরিকল্পনায় বদল আনতে বাধ্য হন কোচ গ্রেসন। এদিন দুই কোচই তিন ডিফেন্ডারে দল সাজান। তবে বেঙ্গালুরুর তুলনায় এটিকে আপফ্রন্টকে অনেক বেশি সংঘবদ্ধ দেখায়। উইং থেকে একের পর এক আক্রমণ তুলে আনেন মনবীর-আশিকরা। ডিফেন্সে দীর্ঘকায় ডিফেন্ডারের উপস্থিতি সত্ত্বেও বোমাসদের সামনে বেশ নড়বড়ে দেখায় সন্দেশদের। ১৩ মিনিটে সেটপিস মুভমেন্ট থেকেই প্রথম গোলের দেখা পায় মোহন বাগান। পেনাল্টি থেকে জাল কাঁপান দিমিত্রি।
ম্যাচে হোক কিংবা লিগের লড়াই, চলতি আইএসএলে বারবার কামব্যাকের দৃষ্টান্ত রেখেছে বেঙ্গালুরু। ফাইনালে আরও একবার তার পুনরাবৃত্তি ঘটালেন সুনীল ছেত্রীরা। ৩৫ মিনিটে বল দখলের লড়াইয়ে কৃষ্ণাকে পিছন থেকে লাথি মারেন প্রীতম। তবে তা পেনাল্টি পাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না। প্রথমার্ধের শেষদিকে দায়সারা মনোভাবেই বক্সের মধ্যে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে রয় কৃষ্ণাকে ফাউল করেন শুভাশিস। এবার অবশ্য পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পটকিক থেকে লক্ষ্যভেদে ভুল করেননি ‘হিমশীতল’ সুনীল।
দ্বিতীয়ার্ধে গ্লেনের পরিবর্তে নামতেকে নামিয়ে মাঝমাঠে দখল নেওয়ার চেষ্টা করেন বাগান কোচ। তবে বিরতির ঠিক আগে গোল হজম কোথাও বোমাসদের ফোকাস নড়িয়ে দেয়। পক্ষান্তরে, আপফ্রন্টে চাপ বাড়াতে পাবলো পেরেজকে নামান গ্রেসন। এরই মধ্যে ৬০ মিনিটে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন দিমিত্রি। পরিবর্ত হিসেবে নামা লিস্টনের দূরপাল্লার শট কোনওক্রমে আটকান বেঙ্গালুরু কিপার গুরপ্রীত। ফিরতি বল ফাঁকায় পেয়েও লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ দিমিত্রি।
৭৮ মিনিটে দুরন্ত হেডে বেঙ্গালুরুকে এগিয়ে দেন রয় কৃষ্ণা। তবে প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে জাল কাঁপিয়েও উচ্ছ্বাস দেখালেন না তিনি। ফিজি স্ট্রাইকারের গোলে খেতাব জয়ের সেলিব্রেশনে আগাম গা ভাসান বেঙ্গালুরু সমর্থকরা। তবে ৮৪ মিনিটে টপ বক্সের মাথায় কিয়ানকে ফাউল করে মোহন বাগানকে দ্বিতীয় পেনাল্টি উপহার দেয় বিএফসি। এবারও গুরপ্রীতকে হার মানান পেত্রাতোস।
সেমি-ফাইনালে দু’দলই ১২০ মিনিটের লড়াইয়ের পর পেনাল্টিতে জয় পয়েছিল। ফাইনালও অতিরিক্ত সময়ে গড়ানোয় ক্লান্তি গ্রাস করে ফুটবলারদের। তার মধ্যেই সুযোগ এসেছিল দু’দলের সমনে। রয় কৃষ্ণার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তবে টাই-ব্রেকারে আবারও দলকে ভরসা জোগালেন বিশাল কেইথ। শেষ পর্যন্ত টাই-ব্রেকার ৪-৩ ব্যবধানে জিতে উৎসবে ভাসল সবুজ-মেরুন শিবির।
(দিমিত্রি-২) (সুনীল, রয় কৃষ্ণা)
(টাই-ব্রেকারে ৪-৩ গোলে জয়ী মোহন বাগান)
এটিকে মোহন বাগান: বিশাল, আশিস, প্রীতম, স্লাভকো, শুভাশিস (কিয়ান), গ্লেন (নামতে), ম্যাকহাগ (গালেগো), আশিক (লিস্টন), বোমাস (হামিল/সুমিত), মনবীর, দিমিত্রি।
বেঙ্গালুরু এফসি: গুরপ্রীত, আলেকজান্ডার (পাবলো), সন্দেশ, ব্রুনো, প্রবীর, রোহিত (কোস্তা), সুরেশ, রোশন (পারাগ), জাভি (উদান্তা), কৃষ্ণা, শিবাশক্তি (সুনীল)।