মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
এদিন টাই-ব্রেকারে বেঙ্গালুরু এফসি’র পাবলো পেরেজের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার মুহূর্তে গ্যালারিতে হাজির ছোট্ট শিশুকে শূন্যে ছুড়ে লুফে নিলেন মোহন বাগানি মা। সঙ্গেসঙ্গে জ্বলে উঠল সবুজ-মেরুন ধোঁয়াবোম। পেনাল্টি শ্যুট আউটে ৪-৩ ব্যবধানে খেতাব জয়ের আনন্দে একে অপরকে আলিঙ্গনে ব্যস্ত সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, অরূপ বিশ্বাসরা। আনন্দে-উচ্ছ্বাসে প্রীতম কোটাল, দিমিত্রি পেত্রাতোসরা তখন দিশাহারা। কোচ হুয়ান ফেরান্দোর চোখেমুখে গর্বিত বিজয়ীর অভিব্যক্তি। সত্যিই তো, স্ট্রাইকারহীন দলকে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন করানো তো আর মুখের কথা নয়! নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও দলগত সংহতিতেই এবার বাকিদের টেক্কা দিল এটিকে মোহন বাগান। সেমি-ফাইনাল ও ফাইনাল, দু’টি ম্যাচই ফেরান্দোর দল জিতল টাই-ব্রেকারে। অর্থাৎ, স্নায়ুর চাপকে বশ মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে তারাই সেরা।
দুই দলই এদিন শুরুতে একে অপরকে পরখ করে নেয়। প্রথম মিনিটেই নাক ফাটে শিবাশক্তির। তাই তাঁকে তুলে সুনীলকে নামাতে বাধ্য হন বেঙ্গালুরু এফসি কোচ। ১৩ মিনিটে বক্সের মধ্যে রয় কৃষ্ণার হাতে বল লাগলে রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। স্পটকিক থেকে জাল কাঁপাতে ভুল হয়নি ম্যাচের সেরা এটিকে মোহন বাগানের পেত্রাতোসের (১-০)। এরপর দুই দলই আক্রমণ শানালেও গোল হয়নি। বিরতির আগে বলের বদলে রয় কৃষ্ণাকে লাথি মারেন শুভাশিস বসু। পেনাল্টি থেকে সুনীলের বুদ্ধিদীপ্ত শট হার মানায় এটিকে মোহন বাগানের গোলরক্ষক বিশাল কেইথকে (১-১)। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের গতিপ্রকৃতি আরও মন্থর হয়। দু’দলই গোলের সুযোগ নষ্ট করে। ৭৮ মিনিটে রয় কৃষ্ণার হেড লিড এনে দেয় বাগিচা শহরের দলটিকে (২-১)। কিন্তু তাতেও দমেনি এটিকে মোহন বাগান। শুভাশিসের বদলে নামা কিয়ান নাসিরিকে ফাউল করায় দ্বিতীয় পেনাল্টি পায় পালতোলা নৌকা। এবারও পেত্রাতোসের নিখুঁত লক্ষ্যভেদ (২-২)। এরপর অতিরিক্ত সময়ে গোল না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাই-ব্রেকারে। এই পর্বে ফেরান্দোর দলের হয়ে জাল কাঁপান পেত্রাতোস, লিস্টন কোলাসো, কিয়ান নাসিরি ও মনবীর সিং। বেঙ্গালুরুর হয়ে লক্ষ্যভেদে সফল অ্যালান কোস্তা, রয় কৃষ্ণা ও সুনীল ছেত্রী। ব্রুনো রামিরেজের শট রোখেন বিশাল কেইথ।