আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, হলদিয়া পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে সিটিসেন্টার সংলগ্ন সুকান্ত নগর এলাকার বাসিন্দা অঞ্জনকুমার মান্না অনলাইন ফিনান্সিয়াল স্টক ট্রেডিংয়ের সময় সাইবার প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে ১৫.১৮ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন বলে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ, আইসিআইসিআই সিকিউরিটিজের মতো নামী সংস্থার নাম ও ব্র্যান্ড ব্যবহার করে প্রতারণা করা হয়েছে। ওই সংস্থার সেবি রেজিস্ট্রেশন নম্বর সহ যাবতীয় নথি ব্যবহার করে গ্রাহকদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলছে সাইবার প্রতারকরা। প্রলোভনে পা দিয়ে কার্যত জীবনের জমানো সব অর্থ খুইয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি। হলদিয়ায় প্রতারণার ফাঁদে পড়ে গত দেড় মাসে দেড় কোটি টাকার বেশি টাকা খুইয়েছেন শেয়ার ট্রেডাররা। মূলত শিক্ষিত এবং শেয়ার ট্রেডিংয়ে দক্ষ লোকজন অতিরিক্ত লাভে আশায় লোভে পড়ে টাকা খোয়াচ্ছেন।
অঞ্জনের কাছে গত মার্চ মাসে হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ আসে এবং তারপর আইসিআইসিআইয়ের নাম করে ফোন করে। এধরনের অনেক ফ্রড কল আসে বা মেসেজ আসে বলে প্রথমে গুরুত্ব দেননি। পরে আইসিআইসিআইয়ের আধিকারিক পরিচয় দিয়ে শেয়ার ট্রেডিং নিয়ে মোবাইলে তাঁকে বিভিন্ন পরামর্শ দেন। ওই কথাবার্তার পর দোলাচল নিয়ে ওই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। তার আগে অবশ্য সংস্থা সম্পর্কে খোঁজ নেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে গিয়ে। তিনি বলেন, ওরা আইসিআইসিআইয়ের সমস্ত নথি এমনভাবে ব্যবহার করছে, যাতে কোনওভাবেই সন্দেহ হওয়ার কোনও জায়গা নেই। ওদের সঙ্গে গত এপ্রিলে যুক্ত হই। এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে মে›র প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ১৫.১৮ লক্ষ টাকা জমা দিই। আমাকে ওরা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাউন্টের নাম করে আইপিও কেনার বিষয়ে লোভ দেখায়। তবে জোর করে বাড়তি টাকার আইপিও কেনাতে বাধ্য করে এবং ঋণের ফাঁদে ফেলে টাকা হাতায়।
তিনি বলেন, এধরনের ঘটনা যেন বাড়তে না পারে সবাইকে সচেতন করতে চাই। পুলিস ওই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে।