জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
প্রায় একমাস আগে তামিলনাড়ু থেকে একটি সংস্থা কম দামে আসবাবপত্র বিক্রি করার জন্য রঘুনাথপুরে আসে। অভিযোগ, সেই সংস্থা ১০-৪৫ শতাংশ ডিসকাউন্টে জিনিস দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। টাকা জমা দেওয়ার ১২দিনের মধ্যে অর্ডার দেওয়া জিনিস পাওয়া যায় বলে জানানো হয়। তারা মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে পুরসভা থেকে নেওয়া ট্রেড লাইসেন্সও দেখায়। ব্যবসা করার জন্য পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মদন বরাটের লজের একটি রুম ভাড়া নেয়। ব্যবসা শুরুর পর প্রথমে কয়েকজনকে মাল ডেলিভারিও দেওয়া হয়। পুরসভার ট্রেড লাইসেন্স, প্রাক্তন চেয়ারম্যানের লজের রুমে ব্যবসা ও বেশ কয়েকজনকে মাল ডেলিভারি দেওয়া দেখে অনেক মানুষের সংস্থার ওপর বিশ্বাস গড়ে উঠে। তাই আসবাবপত্র নেওয়ার জন্য ২০-৫০ হাজার, এমনকী এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমা করেন অনেকে। কিন্তু আসবাবপত্র পাওয়ার আগেই বুধবার ভোরে ওই সংস্থা অফিসঘরে তালা মেরে চলে যাওয়ায় তাঁদের মাথায় হাত পড়ে।
বুধবার সংস্থার অফিসঘর ঘেরাও করে প্রতারিতরা বিক্ষোভ দেখান। এটিএম গ্রাউন্ডের কাছে পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়কও দু’ঘণ্টা অবরোধ করেন। পরে পুলিস তদন্তের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ উঠে যায়।
মিশনপাড়ার বাসিন্দা সুচিত্রা পাল বলেন, ওই সংস্থার তরফে ৪৫ শতাংশ ডিসকাউন্টে মাল পাওয়া যায় বলে জানানো হয়েছিল। সেইমতো টাকা দিয়েছিলাম। আমার মতো রঘুনাথপুর এলাকার প্রচুর মানুষ ওই সংস্থায় টাকা বিনিয়োগ করেছিল। ওরা সবার টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে।
রঘুনাথপুর শহরের বাসিন্দা তথা বিজেপির বাঁকুড়া জেলা সহ-সভাপতি বাণেশ্বর মুখোপাধ্যায় বলেন, রঘুনাথপুরের মতো শহরে একটি সংস্থা মানুষের থেকে কোটি টাকা তুলে চম্পট দিয়েছে। এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রয়োজন। পুরসভা কী করে এত সহজে ট্রেড লাইসেন্স দিল, তারও তদন্ত হওয়া দরকার।
পুরসভার চেয়ারম্যান তরণী বাউরি বলেন, ওই সংস্থা অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছিল। সমস্ত কাগজপত্র ঠিক থাকায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
পুলিস জানিয়েছে, সংস্থার তরফে যে সব কাগজপত্র ঘরভাড়া ও ট্রেড লাইসেন্স নেওয়ার জন্য দেওয়া হয়েছিল, সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সংস্থার দেওয়া ফোন নম্বরের লোকেশনও ট্র্যাক করা হচ্ছে।