আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন থাকে সিভিক ভলান্টিয়ার। এদিন গার্লস স্কুল ঢোকার মুখে ডাকবাংলো মোড়ে সিভিক ভলান্টিয়ার থাকলেও বাইক চালকদের দেখেও আটকালেন না তাঁরা। উল্টে বলতে শোনা গেল, ‘যেন পাহাড় যাচ্ছে’। একজন পথচারী জিজ্ঞাসা করলেন আটকালেন না কেন? সেই প্রশ্নের এল না কোনও উত্তর।
অভিযোগ, ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ নিয়ে প্রচার এবং পথ নিরাপত্তা নিয়ে পরিবহণ দপ্তরের কড়াকড়ি সত্ত্বেও বেড়েই চলেছে দুর্ঘটনা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শব্দদূষণের মাত্রাও। পুলিসকর্মীরাই জানাচ্ছেন, এখন অনেকেই শব্দ-তাণ্ডবের জন্য এক ধরনের সাইলেন্সার লাগাচ্ছে। কেউ কেউ খুলে ফেলছে বাইকের সাইলেন্সার। এখন গরমের কারণে সকালে স্কুল চলছে। বিশেষ করে ছুটির সময় থেকে ওইসব বাইকের দাপাদাপি শুরু হচ্ছে।
এমনই এক বাইক চালক জানালেন, রাস্তায় অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই এমন বিকট আওয়াজ করে বাইক চালানো হয়। তারজন্য সাইলেন্সার খুলে ফেলা ছাড়াও অন্য পদ্ধতি রয়েছে। যেমন, কেউ সাইলেন্সার পাইপের ভিতরে থাকা জালটি ফাটিয়ে দেয়। কেউ আবার ২-৩ হাজার টাকা খরচ করে ‘ফ্রি ফ্লো’ সাইলেন্সার কিনে বাইকে লাগায়। কারণ ওই ‘ফ্রি ফ্লো’ সাইলেন্সার লাগানো থাকলে বাইকের ওজন কমে যায়। তাতে গতি বাড়াতে সুবিধা হয়।
যদিও বাইকের কান ফাটানো আওয়াজে সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে যাচ্ছে। এদিন মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সমর্পিতা মজুমদার। তিনি বলেন, এমনিতেই শহরের রাস্তা সর্বক্ষণ ভিড়ে ঠাসা থাকে। তার মধ্যে এই বাইক বাহিনীর দাপাদাপিতে আমরা রীতিমতো আতঙ্কে থাকি। এই সব বাইকের আওয়াজ অন্য সাধারণ দু’চাকার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। আমাদেরই বুক কেঁপে ওঠে। বয়স্কদের হার্টঅ্যাটাক হয়ে যেতে পারে।
শহরের এক ব্যবসায়ী বলেন, প্রচণ্ড আওয়াজ আর গতির সঙ্গে চলে স্ট্যান্টবাজি। টিনেজাররা এভাবে বাইক চালাচ্ছে। প্রতিবাদ করলে জোটে দেখে নেওয়ার হুমকি। কাজেই মুখ বুজে থাকতে হয়। ওই সমস্ত কমবয়সি যুবকের চাপে অভিভাবকরা দামি বাইক দিতে বাধ্য হচ্ছেন। বাইক না কিনে দিলে আত্মহত্যার হুমকি দেয়। আবার অনেকের সন্তান বাইক দুর্ঘটনায় অসময়ে চলেও যাচ্ছে। অভিভাবকদের দু’দিকেই বিপদ।