জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
শ্রীকৃষ্ণপুর পাখুরিয়া গ্রাম থেকে দু’কিমির কাছাকাছি দূরত্বে রামপুরহাট জংশন। এই স্টেশনের আপ লাইনের আউটার বলতে শ্রীকৃষ্ণপুর পাখুরিয়া গ্রাম। এই গ্রামের বুক চিরে চলে গিয়েছে বর্ধমান সাহেবগঞ্জ লুপ লাইন। পূর্বপ্রান্তে শ্রীকৃষ্ণপুর পাখুরিয়া গ্রাম। পশ্চিমে জেঁদুর, হরিওকা, ডাঙাপাড়া, বনহাট সহ বিভিন্ন গ্রাম। এই সমস্ত গ্রামের পডুয়াদের পাখুরিয়া জুনিয়র হাইস্কুলে নিত্যদিন আসা যাওয়া করতে হয়। এছাড়া রেলগেট পেরিয়ে রামপুরহাট থানা, মহকুমা শাসকের অফিস সহ বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়ে আসতে হয়। ওই সমস্ত গ্রামের বাজারহাট বলতে রামপুরহাট শহর। বিশেষ করে গ্রামের মাঝখানে থাকা রেলগেট এলাকার মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত করে তুলেছে।
এলাকার বাসিন্দা মিরাজুল ইসলাম বলেন, সব থেকে বেশি সমস্যা হয় যখন কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন। রেলগেটে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে পড়তে হয় অ্যাম্বুলেন্সকে। পডুয়ারা রেলগেট পেরিয়ে যাবে, তার কোনও উপায় থাকে না। কারণ, গেটে মালগাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। কৃষকরা তাঁদের ফসল রামপুরহাট শহরে বাজারজাত করতে সমস্যায় পড়েন। বাইপাস রোড ধরে যাবেন, সেখানেও রেলগেট। তিনি বলেন, রেলগেটই আমাদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। তাই বিকল্প রাস্তার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।
এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএম সদস্য রেহেমান আলি বলেন, গ্রামের মাঝখানে থাকা রেলেগেট দিনে ৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকে। আসা যাওয়া প্রায় বন্ধ থাকেই। একবার মালগাড়ি দাঁড়িয়ে পড়লে কমপক্ষে দেড়ঘণ্টা বন্ধ হয়ে যায় গেট। জরুরি কাজে বেরিয়ে গেটে থমকে যেতে হয়। এক কিমি ঘুরে বাইপাস রাস্তা ধরে গেলে, সেখানেও ভোগান্তি। সেখানে রেলগেট আর পাথর বোঝাই ভারী যানবাহনের দৌরাত্ম্য। সব মিলিয়ে রেলগেটের কারণে কোথাও দ্রুত পৌঁছানো যায় না। তিনি বলেন, রামপুরহাট যাওয়ার পথে রেল লাইনের নীচে একটি ফুঁকো রয়েছে। অনেকেই এই সময় রেল লাইনের পাশ দিয়ে গিয়ে সেই ফুঁকো দিয়ে যাতায়াত করছেন। যদিও বর্ষায় জলমগ্ন হয়ে পড়ায় যাওয়া যায় না। আমরা মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি তুলে ধরে সেই ফুঁকো ব্যবহার করে রেললাইন বরাবর হাফ কিমি ওই রাস্তা দিয়ে যাতে স্থায়ীভাবে মানুষ চলাচল করতে পারে সেব্যাপারে আবেদন জানিয়েছি। তাহলে মানুষ সরাসরি রামপুরহাট শহরে যেতে পারবেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সুরাহা হয়নি।
স্থানীয়রা বলেন, গেটের তলা দিয়ে রেললাইন পার হয়ে যেতে গিয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এই সমস্যা থেকে প্রশাসনের কেউই আমাদের বের করে আনতে উদ্যোগী হচ্ছেন না।
যদিও বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওই গ্রামের মাঝখানে থাকা রেলগেট পড়ে থাকলে লোকজনের যাতায়াতের আর কোনও সুযোগ থাকে না। ঘণ্টার পর পর ঘণ্টা ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকে। অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করেন। সমস্যার সমাধানে বিকল্প রাস্তা যাতে করা যায়, সেজন্য রেলের জিএম এবং ডিআরএমের সঙ্গে কথা বলব।