জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
সেচদপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় মজুমদার বলেন, অনেক সময়ে বিপদও হয়েছে। পড়ে গিয়েছেন কেউ কেউ। আমার বিভিন্ন সতর্কতা বোর্ড দিয়েছি। নিজেরা সচেতন না হলে সর্বক্ষণ নজরদারি করা তো সম্ভব নয়।
দামোদর নদের উপর দুর্গাপুর ব্যারেজের উত্তর প্রান্তে দুর্গাপুর দক্ষিণে বাঁকুড়া জেলার বড়জোড়া। ব্যারেজটি বড়জোড়া থানার অন্তর্গত। দুর্গাপুর অভিমুখে আসার পথে ব্যারেজ পার হলেই বাঁ পাশে একটি রাস্তা চলে গিয়েছে। সেই রাস্তার প্রথমে পড়বে দুর্গাপুর অভিমুখে যাওয়া সেচ ক্যানেলের গেটগুলি। তা পার হলেই রাস্তা দু’ভাগ হয়েছে। একটি রাস্তা ব্যারেজে আটকে থাকা দামোদরের বিশাল জলরাশির পাশ দিয়ে গিয়েছে বীরভানপুরে বিসর্জন ঘাটের দিকে। অন্য রাস্তাটি বর্ধমান ক্যানেলের পাশ দিয়ে গিয়েছে। এই অংশটিতেই সন্ধ্যা নামলে প্রেমে রঙিন হয়ে উঠছে মানুষ। এলাকায় রয়েছে অপর্যাপ্ত আলো। সহজেই নিজেদের আড়াল করে গল্প করার সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে সন্ধ্যা হলেই ঝাঁকে ঝাঁকে যুগল আসছে সেখানে। বাইক দাঁড় করিয়ে পছন্দের জায়গা খুঁজে বসে পড়ছেন তাঁরা। গরম কাটাতে হাতে বিয়ার ও মদের বোতল। এক্ষেত্রে ছেলেদের টেক্কা দিচ্ছে মেয়েরা। ওই এলাকায় একটি ফুচকার দোকান ও দু’টি চায়ের দোকান ছাড়া কিছু নেই। কিন্তু অনেক সময়েই ব্যারেজের টাটকা মাছ এখানে বিক্রি হতো। কিন্তু প্রেমিকদের দাপটে এখন গৃহস্থকেই এই এলাকায় এসে লজ্জায় পড়তে হচ্ছে। এই আড্ডা চলছে ন’টা, দশটা পর্যন্ত। অনেককেই দেখা যাচ্ছে দামোদরের ফিডার ক্যানেলের জন্য যে লকগেট গুলি রয়েছে। তার উপর উঠে বসতে। সেখানেই আবার মদের বোতলের সঙ্গে আকাশের চাঁদকে নিয়ে পোজ দিচ্ছেন সুন্দরী তরুণীরা। পা ফসকালেই মৃত্যুর কোলে পড়বে সেদিকে হুঁশ নেই কারও। অন্ধকার জায়গায় এই অবাধ মেলামেশার সুযোগ যে কোনও দিন বড় বিপদও আনতে পারে বলে অনেকের আশঙ্কা। এনিয়ে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার পুলিসকে বলা হলে তাঁরা জানায়, এলাকাটি তাঁদের নয়।