নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: তীব্র গরমের কারণে নদীয়া জেলাজুড়ে হিট স্ট্রেসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বড়েছে। এপ্রিল মাসে নদীয়া জেলাজুড়ে দুশোর বেশি মানুষ হিটস্ট্রেসে আক্রান্ত হয়ে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছেন। একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করতেও হয়েছিল। বাকিদের আউটডোরেই চিকিৎসা হয়। এর আগে গরমের কারণে জেলাজুড়ে এমন রোগীর এই চাপ আগে দেখননি চিকিৎসকরা। ফলে রোগীদের পরিষেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। যদিও আগাম সতর্কতার কারণে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে শুরু করে মহকুমা হাসপাতাল ও জেলা হাসপাতালে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যাতে হিটস্ট্রেস নিয়ে কেউ এলে সঙ্গে সঙ্গেই প্রাথমিক চিকিৎসা করা যায়। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এপ্রিল মাস থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ২১৮জন হিটস্ট্রেসের সমস্যা নিয়ে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালের ওপিডিতে এসেছিলেন।‌ যার মধ্যে ছিলেন ১৪৪জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও মহিলা এবং ৭৪জন শিশু। যদিও সকলেই সুস্থ হয়েছেন। গরম থেকে বাঁচতে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে বলছে স্বাস্থ্যদপ্তর। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, ওপিডিতে কতজন হিটস্ট্রেস নিয়ে ভর্তি হয়েছেন তার হিসেব রেখেছি। অনেকেই জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে এসেছিলেন। তাঁদের তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সুস্থ হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত মাত্র একজনকেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। তবে গরম থেকে মানুষকে সাবধানে থাকতে হবে। প্রসঙ্গত, চলতি বছর নদীয়া জেলায় রেকর্ড গরম পড়েছিল। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৪ডিগ্রি ছুঁয়েছিল। এমনকী রাতের তাপমাত্রাও ৩৫ডিগ্রির নীচে নামেনি। সেই সঙ্গে ছিল তীব্র দাবদাহ। গোটা এপ্রিল মাসজুড়েই গরমে নাকাল হতে হয় জেলাবাসীকে। যার ফলে অনেক পথচারী অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া দিনেরবেলায় মানুষকে বাড়ি থেকে না বের হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছিলেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও বৃষ্টি হওয়ায় দাবদাহ থেকে অনেকটাই রেহাই পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। তবে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিৎসকরা।