উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
শনিবার রাতে মাটিগাড়া থানার পুলিসের সঙ্গে লেনিন কলোনিতে যৌথ অভিযান চালায় পূর্ব মেদিনীপুরের কেশিয়ারি থানার পুলিস। তারা সেখান থেকে নজরুল ইসলাম ও রূকসানা খাতুন নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতরা নদী থেকে বালি ও পাথর তোলার কাজের সঙ্গে যুক্ত। ওই রাতেই এনজেপি থানার সহায়তায় নৌকাঘাট থেকে মহম্মদ মেহেবুবকে গ্রেপ্তার করে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিস। ধৃত বেসরকারি সংস্থার অ্যাকাউন্ট্যান্ট।
ঘটনাগুলি খতিয়ে দেখে পুলিস ও গোয়েন্দারা চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য হাতে পেয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে শিলিগুড়িতে বন্ধ বালি খাদান। প্রশাসনের কড়াকড়ির জেরে শ্রমিকরা নিজেরাও সেখানে নদী থেকে বালি ও পাথর তুলতে পারছেন না। এই অবস্থায় সহজে টাকা কামানোর টোপ দিয়ে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের মগজ ধোলাই করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়া নেয় ট্যাব কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডরা। লেনিন কলোনি থেকে ধৃতদের অ্যাকাউন্টে গত ৪ অক্টোবর ট্যাবের টাকা ঢুকেছে। ৫ অক্টোবর ধৃতরা সেই টাকা তুলে নেয়। এরবাইরে সেখানকার আরও তিন শ্রমিকের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকে। তারা অবশ্য সেই টাকা তোলেননি।
পূর্ব মেদিনীপুর পুলিসের এক অফিসার জানান, ট্যাবের টাকা তোলার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও বাকিরা তদন্তের মধ্যে রয়েছে। নোটিস পাঠিয়ে তাদের তলব করা হয়েছে। ফ্রিজ করা হয়েছে প্রতিটি অ্যাকাউন্ট। সম্ভবত অ্যাকাউন্টগুলি ট্যাব কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডরা ভাড়া নিয়েছিল।
এনিয়ে গত ১৮ তারিখ থেকে ছ’দিনের মধ্যে ট্যাব কাণ্ডে এখান থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে সাতজন। সংশ্লিষ্ট ঘটনাগুলি খতিয়ে দেখার পর গোয়েন্দাদের সন্দেহ, বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টও একইভাবে হাতানো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কিংবা টোপ দিয়ে শ্রমিকদের আধর কার্ড, আঙুলের ছাপ সহ বিভিন্ন নথি নিয়ে সাইবার অপরাধীরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছে। পুলিস অফিসারার জানান, এর আগে এখান থেকে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক দিবাকর দাস ওরফে বিট্টু এবং সিএসপি কর্মী রবীন্দ্রপ্রসাদ সিংকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথমজন চোপড়া এবং দ্বিতীয়জন বিহারের কিষানগঞ্জের বাসিন্দা। এরা দু’টি গ্যাংয়ের মাস্টারমাইন্ড। এরাই চা শ্রমিক ও বালি খাদানের শ্রমিকদের অ্যাকাউন্ট ভাড়া নিয়ে ট্যাবের টাকা গায়েব করেছে বলে সন্দেহ।
অন্যদিকে, ট্যাব কাণ্ডে ওষুধ ব্যবসায়ী তথা ঠিকাদার গ্রেপ্তার হওয়ায় আলিপুরদুয়ারে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ধৃত যুবকের পরিবারকে পুলিস জানিয়েছে, চলতি বছরের আগস্ট মাসে প্রবীরের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ট্যাবের টাকা লেনদেন হয়েছে। আলিপুরদুয়ার-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি পীযূষকান্তি রায় বলেন, প্রবীরকে
ছোটবেলা থেকেই ভালো ছেলে হিসেবে চিনতাম। সে ট্যাব কাণ্ডে যুক্ত থাকবে, ভাবতে পারছি না।