উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
শিশুঝুমড়া অঞ্চলের হাওড়াধুরা এসএসকে’র ১৫৬ নম্বর বুথটি ছিল বিজেপি প্রার্থী রাহুল লোহারের নিজের বুথ। নিজের বুথে বিজেপি প্রার্থী পেয়েছেন ৪৪৯টি ভোট। অন্যদিকে, তৃণমূল প্রার্থী জয়প্রকাশ টোপ্পোর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৪৫৫টি ভোট। অর্থাৎ বিজেপি প্রার্থী রাহুল নিজের বুথেই ৬ ভোটে হেরে গিয়েছেন।
এদিকে, তেইশের পঞ্চায়েত ভোট থেকেই বিজেপির জেলা সভাপতি এমপি মনোজ টিগ্গা ধারাবাহিকভাবে নিজের বুথে পিছিয়ে চলেছেন। সিংহানিয়া চা বাগানে হোসেনাবাদ প্রাইমারি স্কুলটি মনোজবাবুর নিজের বুথ। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে পদ্মপার্টির প্রার্থী মনোজবাবুর নিজের বুথে হেরেছিলেন। চব্বিশের লোকসভা ভোটে মনোজবাবু নিজে জিতলেও হেরে গিয়েছিলেন নিজের বুথেই। এবার উপ নির্বাচনেও সেই ট্রাডিশন বজায় থাকল।
এই নির্বাচনে দলের জেলা সভাপতির বুথে বিজেপি প্রার্থী রাহুল লোহার পেয়েছেন ১৮৬টি ভোট। অন্যদিকে, তৃণমূল প্রার্থী পান ৩৮২টি ভোট। অর্থাৎ বিজেপির জেলা সভাপতির বুথেই উপ নির্বাচনে দলের প্রার্থী ১৯৬ ভোটে হেরে গিয়েছেন। সব মিলিয়ে জেতা তো দূরের কথা নিজের বুথেই তৃণমূল প্রার্থীকে টপকাতে পারলেন না বিজেপি প্রার্থী। যদিও এ বিষয়ে জানতে পরাজিত বিজেপি প্রার্থীকে একাধিকবার টেলিফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এসএমএসেরও জবাব দেননি। তবে চব্বিশের ভোটে নিজের বুথে হেরে যাওয়ার পর সেই সময় মনোজবাবু যা ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন, রবিবার কার্যত একই রকম সাফাই দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, আমার বুথে সংখ্যালঘু ভোট বেশি। সংখ্যালঘুরা এখনও বিজেপিকে মন থেকে নিজেদের দল হিসেবে মেনে নিতে পারেনি।
সব মিলিয়ে উপ নির্বাচনে খোদ দলীয় প্রার্থী ও দলের জেলা সভাপতি তাঁদের নিজেদের বুথেই হেরে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে পদ্ম শিবির। অন্যদিকে, বিজেপি প্রার্থী ও ওই দলের জেলা সভাপতি নিজের বুথেই হেরে যাওয়ায় কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। উপ নির্বাচনে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী জয়প্রকাশ টোপ্পো বলেন, ভোটের পরিসংখ্যান থেকেই বোঝা যাচ্ছে নিজের বুথেই যিনি জিততে পারেন না সেখানে বিজেপি প্রার্থী বিধানসভায় জিতবেন কীভাবে?