উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
এদিকে, গো-হারা হারের পর দলের অন্দরে প্রবল চাপের মুখে ‘সংগঠনের হাল’ নিয়ে অকপট স্বীকারোক্তি আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ মনোজ টিগ্গার। রবিবার তিনি বলেন, দ্বিতীয়বার বিধায়ক, সেই সঙ্গে বিধানসভায় দলের মুখ্য সচেতক, তারপর সাংসদ, দলের জেলা সভাপতির দায়িত্ব, এতকিছুর জন্য চাপ বেড়েছিল কাজের। সেকারণে বুথে যাওয়া সবসময় সম্ভব হয়ে উঠত না। যদিও তাঁর সাফাই, মানুষ আমার কাছে রোজই আসে। তাঁদের সময়ও দিই।
মাদারিহাটে হারের জন্য দলের একাংশ জেলা সভাপতি পদে মনোজের ইস্তফার দাবিতে সরব হলেও সেপথে হাঁটার কোনও প্রশ্নই নেই বলে পাল্টা জানিয়ে দিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ। তাঁর বক্তব্য, দল হেরেছে বলে এখন আমার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ উঠছে। জিতলে এসব হাওয়ায় মিলিয়ে যেত। তাছাড়া আমি তো কোনও পদে নিজে থেকে বসিনি। আমাকে পদ দেওয়া হয়েছে। সুতরাং জেলা সভাপতি পদে নিজে থেকে ইস্তফার প্রশ্নই ওঠে না।
উন্নয়ন নিয়ে মানুষের প্রশ্নের জবাব দিতে না পারাতেই মাদারিহাটে দলের ‘লজ্জাজনক’ হার হয়েছে বলে খোলাখুলি স্বীকার করে নিচ্ছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। দলের মাদারিহাট-৩ মণ্ডলের সভাপতি অনুপম ভারতী বলেন, প্রচারে গিয়ে মানুষের একটাই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে, বারবার বিজেপিকে ভোট দিয়ে বিধায়ক, সাংসদ বানাচ্ছি। এলাকায় কী কাজ করছে আপনাদের দল? মাদারিহাটে হাসপাতাল থেকে বীরপাড়ায় রেলওয়ে ওভারব্রিজ না হওয়া, ভোটে সবই আমাদের বিরুদ্ধে গিয়েছে। দলের চা শ্রমিক সংগঠন নিয়ে জন বারলা বনাম মনোজ টিগ্গার যে দ্বন্দ্ব রয়েছে, ভোটের আগে আলোচনার মাধ্যমে তা মিটিয়ে নেওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন অনুপম। তাঁর সাফ বক্তব্য, যেভাবে চলছে, সেটা চললে মুশকিল। সংখ্যালঘু এলাকায় দল যেভাবে সাফ হয়ে গিয়েছে, সেটাও ভাবার।