উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
জলপাইগুড়ি ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির সম্পাদক বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, আমাদের একটাই দাবি, অসম চায়ের ‘ফিলার’ হিসেবে নয়, ব্র্যান্ড নেমে পরিচিতি পাক ডুয়ার্সের চা। আমরা চাই, দেড়শো বছরে নিজের পরিচিতি খুঁজে পাক ডুয়ার্সের দু’টি পাতা একটি কুঁড়ি। তাঁর আক্ষেপ, ডুয়ার্সে অন্তত ১৬টি বাগানে যে চা উৎপাদন হয়, গুণমানের নিরিখে তা অসমের চা’কে টেক্কা দিতে পারে। কিন্তু আমরা দেশ বিদেশের যেখানেই যাই না কেন, দেখা যায়, দার্জিলিং চা, অসম চা এমনকী নীলগিরি চা নিজস্ব ব্র্যান্ডে বিক্রি হচ্ছে। অথচ ডুয়ার্স চা বলে কোনও ব্র্যান্ড নেই। এটা অত্যন্ত দুঃখের।
এদিকে, টি বোর্ডের দাবি, তারা ডুয়ার্স তরাইয়ের চায়ের জন্য লোগো দিয়েছে। এবার বাজারে চাহিদা ও পরিচিতির ব্যাপারে চা ব্যবসায়ীদেরই দায়িত্ব নিতে হবে।
১৮৭৪ সালে হাউটন সাহেব গজলডোবায় চা বাগান পত্তন করেন। সেটাই ছিল জলপাইগুড়ি তথা ডুয়ার্সের প্রথম চা বাগান। জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার মিলিয়ে বড় বাগানের সংখ্যা ১৮৩টি। তরাইয়ে রয়েছে ৮৫টি চা বাগান। সঙ্গে ছোট বাগান কয়েক হাজার। বাগান মালিকদের বক্তব্য, ফি-বছর দেশে মোট চায়ের ৩৩ শতাংশ উৎপাদন হয় ডুয়ার্সে। তারপরও সেই চায়ের কোনও নিজস্ব পরিচিতি নেই।
ইন্ডিয়ান টি প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা অমৃতাংশু চক্রবর্তীর গলায় আক্ষেপের সুর। বলেন, চা উৎপাদন করেন একজন। কিন্তু সেই চা বিপণন করে অন্য গোষ্ঠী। চায়ের বাজার কখনওই বাগান মালিকরা নিয়ন্ত্রণ করেন না। ফলে ডুয়ার্সের চা আদৌও ব্র্যান্ডে বিক্রি হবে কি না তার অনেকটাই নির্ভর করছে বিপণন সংস্থার উপর।