উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) সৌমেন দত্ত বলেন, হিমঘরের মালিক, আলু ব্যবসায়ী সমিতি, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে এদিন বৈঠক হয়েছে। খুচরো বাজারে আলু ৩০ এবং পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকা প্রতি কেজির মধ্যে যাতে থাকে সেই বিষয়টি নির্ধারণ করা হয়েছে। তাঁরাও নিশ্চয়তা দিয়েছেন। মাঝে দাম কিছুটা বেড়েছিল। এরপর পাইকারি
বাজারে দাম কমলেও খুচরো বাজারে সব জায়গায় দাম কমেনি। হয়তো দাম কমাতে কিছুটা গড়িমসি করা হচ্ছে। এরপর ৩০ টাকা কেজির বেশি দরে আলু বিক্রি হলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমরা বাজার সমিতিগুলিকেও বলেছি দামের বিষয়টি নিশ্চিত করতে।
কোচবিহার জেলায় মোট ১৯টি হিমঘর আছে। সেখানে বর্তমানে ২৩ হাজার মেট্রিক টনের বেশি আলু মজুত রয়েছে। সেটা যথেষ্ট। এর মধ্যে কিছুটা বীজের জন্য রাখা হলেও বাকিটা খাওয়ার আলু। বর্তমানে হিমঘরে যে পরিমাণ আলু রয়েছে তা মূলত চাষিদেরই আলু। ঝাড়াই বাছাই করে পাইকারি বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ২৬ টাকা প্রতি কেজি দরে। কিন্তু সেই আলু খুচরো বাজারে অনায়াসে ৩০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি করাই যায়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে অনেক বাজারেই সাদা আলু ৩৫ টাকা প্রতি কেজি দরে বহু বিক্রেতাই বিক্রি করছেন। ক্রেতারাও তা কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। দিনের পর দিন এমনটা চলতে থাকায় স্বাভাবিকভাবেই ক্রেতাদের মনে ক্ষোভ জমতে শুরু করেছে। জোগানে কোনওরকম ঘাটতি না থাকার পরেও অহেতুক বাজারে চড়া দামে আলু কিনতে হচ্ছে।
এই পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরেই প্রশাসন কিছুটা দেরিতে হলেও নড়েচড়ে বসেছে। হিমঘর মালিক ও বাজারের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে এবার প্রশাসন আলু, পেঁয়াজের দাম বেঁধে দিল। যা আগামী দিনে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই দুই আনাজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখবে বলেই আশা করা যাচ্ছে।