কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আক্রান্ত বধূ বলেন, ওই যুবক প্রায় দিনই আমাকে কুপ্রস্তাব দিত। এর আগেও প্রাচীর টপকে জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়েছিল। বিষয়টি স্বামীকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু সামনাসামনি ধরতে না পারায় কিছু করতে পারিনি। রবিবার রাতে শৌচালয়ে যাওয়ার সময় আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমি বাধা দিলে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে। বধূর স্বামী বলেন, চিৎকার শুনে আমরা বাইরে বের হই। এরপরই যুবক পালিয়ে যায়। আমরা না বের হলে প্রাণেই মেরে ফেলত। মাথায় তিনটি সেলাই পড়েছে। ওই যুবকের কঠোর শাস্তি চাই।
পুলিস ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক টোটো চালক। সে বেশ কিছুদিন ধরেই প্রতিবেশী বধূর দিকে কুনজর দিয়েছিল। তাই মাঝেমধ্যেই রাস্তায় পথ আটকে কুপ্রস্তাব দিত। সাড়া না দেওয়ায় নানাভাবে উত্যক্ত করত। জানালার ধারে বিছানায় শুয়ে থাকলে প্রাচীর টপকে জানালা দিয়ে বধূর গায়ে হাত দেয় বলেও অভিযোগ। অনেক সময় লাঠি দিয়েও জানালার ভিতর দিয়ে বধূকে উত্যক্ত করে। এনিয়ে একাধিক বার গোলমাল হয়। রবিবার রাতে সেই অত্যাচারের সীমা লঙ্ঘন করে প্রথমে সে প্রাচীর টপকে বাড়িতে ঢোকে। এরপর রাত আড়াইটের দিকে বধূ শৌচালয়ে গেলে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বাধা দিলে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে। রাতেই বধূকে হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। পাশাপাশি প্রতিবেশীরাও ক্ষিপ্ত হয়ে ওই যুবকের বাড়িতে যায়। কিন্তু ঘটনার পরই সে পলাতক।
প্রসঙ্গত, তপনে এক বধূ নৃশংসভাবে খুন হয়েছে। শুক্রবার তাঁর দেহাংশ উদ্ধার হতেই রীতিমতো স্তম্ভিত জেলার বিদ্বজনেরা। এবার ফের বালুরঘাটের বধূকে ইট দিয়ে খুনের চেষ্টায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বধূ ও মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা।