আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
গ্রামবাসী জানান, দক্ষিণ খয়েরবাড়ির বনাঞ্চল থেকে রোজ রাতে ২৫-৩০টি হাতির দল ঢুকে পড়ছে গ্রামে। বাড়ির বেড়া, ঘর ভাঙছে। দোসর হয়ে দাঁড়াচ্ছে বিদ্যুৎ না থাকা। ফলে অন্ধকারে হাতির গতিবিধি বোঝা যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে প্রাণভয়ে খাটের তলায় আশ্রয় নিতে হচ্ছে। গত কয়েক দিনে হাতির পাল তাণ্ডবে চালিয়ে মুণ্ডাপাড়ার বুধিনি মুণ্ডা, শান্তি মুণ্ডা, বাবলু মুণ্ডা, মিনি মুণ্ডা, যাদব মুণ্ডা, বিনতি মুণ্ডার ঘর ভেঙেছে। ছোট শালকুমারে সুপা বর্মন, অনিল বর্মন সহ আরও অনেকের ঘর হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মিনি মুণ্ডা, শান্তি মুণ্ডার কথায়, রাতে হাতি এলে বৃষ্টিতে কোথাও পালাব? তাই তক্তাপোশের নীচে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছি। ঘরে কোনও খাবার নেই, হাতি সব সাবাড় করেছে। রণজিৎ দাস, শৈলেন বর্মন বলেন, হাতির অত্যাচারে রাতে ঘুমোতে পারছি না। বনদপ্তরে ফোন করলে কেউ রিসিভ করেন না।
ফালাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ দীপক সরকারের কথায়, বৃষ্টির রাতে অনেক এলাকায় হাতি ঢুকে পড়ছে। এজন্য বন সংলগ্ন গ্রামের মানুষ উদ্বিগ্ন। মুণ্ডাপাড়া ও ছোট শালকুমারে হাতির হানার বিষয়ে বনকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে।
মাদারিহাটের রেঞ্জার শুভাশিস রায় বলেন, আমাদের তিনটি টিম ওই এলাকায় মোতায়েন রয়েছে। হাতির পালকে জঙ্গলে পাঠানোর চেষ্টা চলছে। আমি নিজে সেখানে থাকছি। ক্ষতিগ্রস্তরা আবেদন করলে নিয়মমাফিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। নিজস্ব চিত্র।