আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
সেই সুযোগে ২০ কিংবা ২৫ লিটারের জারে এই জল পৌঁছে যাচ্ছে বাড়ি, হোটেলে। কালিয়াগঞ্জ ও হেমতাবাদ ব্লক জুড়ে পঞ্চাশের বেশি এমন জলের ইউনিট থাকলেও কোনও তথ্য নেই খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের কাছে। মান যাচাই করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছে। বারইবাড়ির এক ক্রেতা বিপ্লব সরকার বলেন, অনেক কোম্পানি জল বিক্রি করতে আসে। আমরা একজনের কাছ থেকে নিয়মিত জারের জল কিনি। কিন্তু তার মান কেমন সেবিষয়ে ধারণা নেই।
সমসপুর এলাকার জল ব্যবসায়ী আব্দুল গফফরের কথায়, চার লক্ষ টাকা খরচ করে ইউনিট খুলেছি। কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ট্রেড লাইসেন্স নিলেই হবে। আর কোনও অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। জলের বিষয়ে প্রশাসনের কেউ খোঁজ নিতে আসেনি। দিনদিন গ্রাহক বাড়ছে আমার।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত ও পুরসভা থেকে ট্রেড লাইসেন্স বের করে এই কারবার চলছে রমরমিয়ে। চার লক্ষ টাকা খরচ করে বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে কেনা হচ্ছে প্ল্যান্ট। তারপর বাড়ি, দোকানের আড়ালে পরিকাঠামো তৈরি করে এই জলের ব্যবসা চলছে। মাটির তলা থেকে মেশিনের মাধ্যমে জল তুলে ২০ থেকে ২৫ লিটারের জারের জল বিক্রি হচ্ছে ৩০, ৪০ টাকায়। ফাঁকা জার পুনরায় ফেরত দিতে হচ্ছে মালিককে।
কালিয়াগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান রামনিবাস সাহার মন্তব্য, জল সংক্রান্ত কাজে ট্রেড লাইসেন্স সহজে দেওয়া হয় না। এমন কিছু আবেদন আটকে দেওয়া হয়েছিল। জলের ইউনিটগুলির বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।
জেলা খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিক যদুনাথ হেমব্রম বলেন, এই কারবার সংক্রান্ত পর্যাপ্ত তথ্য আমাদের কাছে নেই। জল কিংবা পানীয় বিক্রি করতে হলে তার জন্য লাইসেন্স প্রয়োজন। খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর থেকে এই সংক্রান্ত অনুমতি নেওয়া হয়নি। এই কারবার রুখতে অভিযান চালানো হবে।