আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
কোচবিহার আসনে একাধিক দলের প্রার্থী থাকলেও উত্তরবঙ্গের নজরকাড়া এই আসনে লড়াই মূলত হচ্ছে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে। গত লোকসভা ভোটের মতো এবারও কি বিজেপি পারবে তাদের জেতা আসনটি ধরে রাখতে, নাকি এবার তৃণমূল তাদের হারানো আসন পুনরুদ্ধার করে বাজিমাত করবে, সেই আলোচনা বিভিন্ন মহলে। এবারের লোকসভা ভোটে একদিকে যেমন নিজেদের জেতা আসন ধরে রাখতে মরিয়া ছিল পদ্ম শিবির।
অন্যদিকে, হারানো জমি ফিরে পেতে দাঁতে দাঁত চেপে লড়েন ঘাসফুলের নেতা-কর্মীরা। গোষ্ঠী কোন্দল মিটিয়ে জেলার শাসকদলের নেতারা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে কাজ করায় এখন অনেকটাই ‘কনফিডেন্ট’ ঘাসফুল শিবিরের নেতার। অন্যদিকে, নারায়ণী রেজিমেন্ট গড়া, ১০০ দিনের টাকা আটকে রাখা থেকে শুরু করে একাধিক ইস্যুতে অনেকটাই চাপ থাকতে হয়েছে পদ্ম শিবিরকে। যদিও ভোটে জেতার বিষয়ে একশো শতাংশ নিশ্চিত বলে দাবি তৃণমূল ও বিজেপি দুই শিবিরের নেতারাই। বিজেপির যুক্তি, গত বিধানসভা ভোটে কোচবিহার লোকসভা আসনের সাত বিধানসভার মধ্যে পাঁচটিতেই জয়ী হয় তারা। পঞ্চায়েত ভোটেও আগের থেকে বেশি দখলে এসেছে। ফলে লোকসভা ভোটে কোচবিহারে বিজেপির প্রার্থীই জয়ী হবেন। যদিও তৃণমূলের পাল্টা দাবি, গত লোকসভা ভোটের সঙ্গে এবারের ভোটের বিস্তর ফারাক। বিজেপিকে মানুষ ভোট দিয়ে ভুল বুঝতে পেরেছে। একের পর এক জনবিরোধী কাজ করেছে গত ১০ বছরে। এনআরসি, সিএএ, কৃষি আইন নিয়ে মানুষ বিরক্ত। নারায়ণী রেজিমেন্ট গড়ার কথা বলে ভোট নিলেও তা হয়নি। ১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাস যোজনার টাকা কেন্দ্রের সরকার আটকে দিয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্য সরকার শ্রমিকদের কাজের টাকা দিয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা বৃদ্ধি করেছে। ফলে মানুষ গতবার ভুল করলেও এবার বুঝতে পেরেছে। উন্নয়নের নিরিখেই ভোট দিয়েছে।
বিজেপির কোচবিহার জেলা সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, ভোটের ফল ঘোষণা হলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। এবারে জয়ের ব্যবধান গতবারের রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে যাবে। তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, জয়ের বিষয়ে আমরা শতভাগ নিশ্চিত। মঙ্গলবার গোটা রাজ্যের সঙ্গে কোচবিহারেও সবুজ আবিরে অকাল হোলি হবে।