আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে আলিপুরদুয়ার আসনে জিতেছিল শাসক দল তৃণমূল। কিন্তু উনিশের লোকসভা ভোটে আলিপুরদুয়ার আসনে বিজেপির জন বারলা ২ লক্ষ ৪৩ হাজার ৯৮৯ ভোটে জিতে বাজিমাত করেছিলেন। শুধু তাই নয়, শ্রমিকরা মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় একুশের বিধানসভা ভোটেও তৃণমূলকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল। লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রেই পদ্মফুল ফুটেছিল। যদিও আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল পরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। ফলে এবার কি আলিপুরদুয়ারে গেরুয়া শিবিরের বিজয়রথ আটকাতে পারবে ঘাসফুল শিবির, আজ গণনার পরেই সেটা কিন্তু স্পষ্ট হয়ে যাবে।
গত শনিবার বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা দলের জেলা পার্টি অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযোগ করেছিলেন, তৃণমূল টাকা দিয়ে তাঁদের দলের কাউন্টিং এজেন্টদের দিয়ে ভোট গণনায় কারচুপি করার পরিকল্পনা করছে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা নিজের জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগছেন। তা না হলে তিনি গণনার আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কোনওভাবেই এতবড় অভিযোগ করতেন না। যদিও এই অভিযোগ করার পরে বিজেপি প্রার্থী মনোজবাবু বলেন, তৃণমূল যতই গণনায় কারচুপি করার চেষ্টা করুক, আমিই শেষ পর্যন্ত জিতব।
তৃণমূল অবশ্য পদ্ম শিবিরের ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর মজুমদার বলেন, বিজেপি যে হারছে এটা শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। আর হারছেন জেনেই বিজেপি প্রার্থী মনোজবাবু আমাদের দলের বিরুদ্ধে এই আগাম ভিত্তিহীন অজুহাত খাঁড়া করেছেন।
তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, শ্রমিকদের জন্য চা সুন্দরী প্রকল্পে আবাস, জমির পাট্টা, পাট্টার জমিতে ঘর তৈরির জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, প্রতিটি বাগানে ক্রেশ, হাসপাতাল ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দিয়েছে সরকার। তৃণমূল প্রার্থী প্রকাশচিক বরাইক বলেন, চা বাগানে উন্নয়নের নিরিখেই শ্রমিকরা এবার আমাদের পাশে থাকবেন। সেই ইঙ্গিত কিন্তু আমরা ভোটের দিনই পেয়েছি। ফলে আমাদের জয় নিয়ে কোনওরকম সংশয় নেই।
আলিপুরদুয়ারের চা বলয়ে বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কের নিয়ন্ত্রক দলের চা শ্রমিক সংগঠন বিটিডব্লুইউ। আবার বিটিডব্লুইউ’কে পুরো নিয়ন্ত্রণ করেন জন বারলা। টিকিট না পাওয়ায় বারলার পাশাপাশি এবার ভোটে বিটিডব্লুইউও নিষ্ক্রিয় ছিল। ফলে পদ্ম শিবির আলিপুরদুয়ার আসনটি এবার ধরে রাখতে পারে কি না, তা নিয়ে কৌতূহলের পারদ চড়ছে রাজনৈতিক মহল। আজ, মঙ্গলবার গণনার পরেই সেই কৌতূহলের অবসান হবে।