আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
বিজেপির দখলে থেকে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি নিজেদের দখলে আনতে তৃণমূল ভোটের তিন মাস আগে ব্লক সভাপতি পরিবর্তন করে দেবাশিস প্রামাণিককে ফিরিয়ে আনে। এখন দেখার, দেবাশিস পারবেন কি ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভায় তৃণমূলের হারানো মাটি ফিরে পেতে। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি গেরুয়া ঝড় তুলে বিপুল ভোটে এগিয়ে ছিল এখানে। সেই মঞ্চেই শিখা চট্টোপাধ্যায় বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতেছিলেন। তিনি বিধায়ক হওয়ার পর ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভায় বিজেপি সংগঠন কতটা শক্তিশালী হয়েছে, মানুষ কতটা বিজেপির সঙ্গে রয়েছে সেটাই এই লোকসভা নির্বাচনে শিখাদেবীর পরীক্ষা।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভার ফলের উপরে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে শিখা চট্টোপাধ্যায় এবং দেবাশিস প্রামাণিকের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে বলে মনে করে এলাকার রাজনৈতিক মহল। এলাকার এক তৃণমূল নেতা বলেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিট পাওয়ার অন্যতম দাবিদার দেবাশিসবাবু। কিন্তু সেই টিকিট নিশ্চিত করতে হলে এবারে লোকসভা নির্বাচনে এখান থেকে তৃণমূলকে লিড দিতে হবে। তিন মাসে দেবাশিস প্রামাণিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করেছেন। কিন্তু তারপরেও যদি তৃণমূল এখানে লিড না পেলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর টিকিট পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ও কঠিন পরীক্ষার মুখে। স্থানীয় এক বিজেপি নেতা বলেন, শিখা চট্টোপাধ্যায় বিধায়ক হওয়ার পর এলাকায় আমাদের সাংগঠনিক শক্তি দুর্বল হয়েছে। গত পঞ্চায়েত ও শিলিগুড়ি পুরসভা নির্বাচনে তা প্রমাণ হয়েছে। এবার লোকসভা নির্বাচনে গতবারের লিড ধরে রাখা অসম্ভব। কেননা বামপ্রার্থী ভালো ভোট পেতে পারেন। তাতে বিজেপির ভোট কমবে। তৃণমূল সর্বশক্তি দিয়ে ভোটে লড়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা বৃদ্ধি তৃণমূলের শক্তি বাড়িয়েছে। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে, দলীয় প্রার্থীকে নিজের এলাকা থেকে কত ভোটের লিড দেন সেটাই দেখার বিষয়।
যদিও শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, এখানকার মানুষ বিজেপিকেই ভরসা করে। আর দেবাশিস প্রামাণিক বলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা বৃদ্ধি এবং ১০০ দিনের কাজের মজুরি মিটিয়ে দেওয়ার পর এই অঞ্চলে তৃণমূলের প্রতি মানুষের আস্থা বহুগুণ বেড়েছে। ভোটে তার প্রভাব পড়েছে।