বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
এদিন এলাকা ঘুরে এসে মন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমি এসেছি। ওই রাতের অল্প সময়ের ঝড়ে প্রচুর বাড়ি সহ গাছ, সব্জি খেত নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, পাঁচটি এলাকায় ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে। পাট ও বোরো ধানের খেত এবং কলা বাগান নষ্ট হয়েছে। যতটা পারলাম এলাকায় আমি গিয়েছি। একদিকে করোনা অপরদিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় চারিদিকে দুর্যোগ চলছে। বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা রাতদিন পরিশ্রম করছেন। আমাকে ওঁরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবারের মধ্যেই বেশিরভাগ এলাকায় পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তাছাড়া গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কার করার কাজ চলছে। যেখানে বিদ্যুৎ নেই সেখানে করোসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমি গোটা বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট করব। বিদ্যুৎ দেওয়া হবে বলে গ্রামবাসীদের কাছে সময় চেয়েছি, ধৈর্য ধরতে অনুরোধ করেছি।
এদিকে বিদ্যুৎ দপ্তর জানিয়েছে, সোমবারের ঝড়ে ব্লকে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। ময়নাগুড়ি বিদ্যুৎ দপ্তরের স্টেশন ম্যানেজার কিতাবুল হক বলেন, আমাদের ১২০ জন কর্মী বেতগাড়া, ধওলাগুড়ি, আমগুড়ি, পানবাড়ি প্রভৃতি এলাকায় কাজ করছেন। ঝড়ে বিদ্যুতের ৮৫টি পোল ভেঙে গিয়েছে। সাতটি ট্রান্সফর্মার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রচুর তার ছিঁড়ে গিয়েছে। খুব দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
বিডিও ফিন্টোশ শেরপা বলেন, বিভিন্ন এলাকায় ত্রিপল দেওয়া হচ্ছে। শুকনো খাবার আমরা বিরতণ করছি। গাছ কাটার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিজেপি জেলা সভাপতি বলেন, যে রাজ্য গাছ কাটতে সেনা নামাতে হয় সেই রাজ্যের মন্ত্রীদের ভাষণ দেওয়া ছাড়া আর কি কাজ আছে। এদিন আমাদের অন্যায়ভাবে রাস্তাতেই পুলিস আটকে দেয়। তবে সাধারণ মানুষ এর জবাব দেবে। পুলিস সুপার অভিষেক মোদি বলেন, এমন কোনও ঘটনার কথা আমার জানা নেই।
সোমবার রাতে ব্যাপক ঝড়বৃষ্টিতে ময়নাগুড়ি ব্লকের বিভিন্ন এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হাজার খানেক বাড়ি, গাছ ভেঙে পড়ে। ওই রাত থেকে ময়নাগুড়ির একাংশ বিদ্যুৎহীন হয়ে আছে। এদিন এলাকা পরিদর্শন করার আগে ময়নাগুড়ি বিডিও অফিসে বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে মন্ত্রী বৈঠক করেন। বৈঠকে ময়নাগুড়ির বিডিও, কৃষি দপ্তর, বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকরা ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক রিপোর্ট মন্ত্রীকে মৌখিকভাবে জানান। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রশাসন এখনও পর্যন্ত কী কী করেছে তাও মন্ত্রীর দৃষ্টিতে আনা হয়।
পরে মন্ত্রী এলাকা পরিদর্শনে বেরন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এলাকার বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিবম রায় বসুনিয়া, এসজেডিএর চেয়ারম্যান বিজয়চন্দ্র বর্মন, তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা যুব সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়, বিডিও সহ অন্যান্য বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা।