বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
অবরোধকারীরা বলেন, এলাকায় করোনা আক্রান্ত রোগীর হদিশ পাওয়ার পরও প্রশাসন কোনও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা নিজেরাই এলাকায় বাঁশ লাগিয়ে ব্যারিকেড করে দিয়েছি। করোনা ছড়ানোর ভয়ে এলাকার অধিকাংশ মুদিখানা দোকান সহ অন্যান্য দোকান বন্ধ হয়ে আছে। এতে খাদ্যসামগ্রীর অভাব দেখা দিয়েছে।
খোল্টাবাজার সংসদের পঞ্চায়েত সদস্য নিবেদিতা বর্মন বলেন, প্রথম দিন শুধুমাত্র একাংশে স্যানিটাইজ করা হয়েছিল। তারপরে এলাকা আর স্যানিটাইজ করা হয়নি। কিছু দোকান বন্ধ রয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দারা একটু দূরবর্তী দোকানে গেলে তাঁদের কিছু দেওয়া হচ্ছে না।
খড়িবাড়ি বাজার সংসদের পঞ্চায়েত সদস্য বিট্টু জয়সোয়াল বলেন, এলাকায় করোনা আক্রান্ত রোগীর খবর পাওয়ার পর ব্লক থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ওই মহিলাকে খড়িবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ওই মহিলা খড়িবাড়ি বাজারেও ঘোরাফেরা করেছিলেন। কিন্তু এখনও ওইসব এলাকা স্যানিটাইজ করা হয়নি।
খড়িবাড়ি পানিশালী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হিমাদ্রীকুমার সিংহ বলেন, প্রথম দিন ওই এলাকায় স্যানিটাইজ করা হয়। কিন্তু সংলগ্ন এলাকাগুলিতে স্যানিটাইজ করা হয়নি। আমারা গোটা বিষয়টি প্রশাসনকে জানাচ্ছি। এদিন গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে ওই এলাকায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা সাতটি পরিবারকে ১৪ দিনের খাদ্যদ্রব্য দেওয়া হয়েছে।
খড়িবাড়ি বিএমওএইচ ডাঃ প্রফুলিত মিনজ বলেন, প্রতিদিনে হাসপাতাল স্যানিটাইজ করা হয়। এছাড়া করোনা আক্রান্ত ওই মহিলার সংস্পর্শে আসা মহিলার ছেলে ও ঘোষপুকুরের দুই বাসিন্দাকে বাতাসি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। সাতদিন পর ফের তাঁদের সোয়াব টেস্ট করা হবে।
দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবালম বলেন, স্থানীয়রা স্যানিটাইজ করার দাবি জানালে আমরা নিশ্চয় সেখানে স্যানিটাইজ করব। স্যানিটাইজ করার জন্য দমকল বিভাগ রয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় বিডিও’র টিম আছে। কয়েকটি বাড়ির লোকজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। বাইরের লোকজনকে সেখানে না যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।
প্রসঙ্গত, মার্চ মাসে করোনা আক্রান্ত ওই মহিলা তাঁর ছেলে ও আত্মীয়র সঙ্গে ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে মুম্বই গিয়েছিলেন। তাঁরা শুক্রবার খড়িবাড়ি ফেরেন। সোমবার রাতে ওই মহিলার সোয়াব টেস্টে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ওই মহিলার প্রতিবেশী সাতটি পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।