বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
এদিন বিকেলে সড়কপথে মালদহে আসেন মন্ত্রী। বিকেল ৫টা নাগাদ জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে রাজীববাবু বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে মালদহের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রীকে তৃণমূলের জেলা নেতারা অবহিত করেন। জেলায় আগে ভাইরাসের প্রকোপ না থাকলেও পরিযায়ী শ্রমিকরা ঢোকার পর থেকে রোগের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে তৃণমূল নেতৃত্ব জানায়। সেখান থেকে রাজীববাবু ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত চাষের খেত পরিদর্শন করতে পুরাতন মালদহের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ওই ব্লকের মুচিয়া এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ধান জমি তিনি খতিয়ে দেখেন। তাঁর সঙ্গে রাজ্যসভার সংসদ সদস্য মৌসম নুর, মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল, জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র, পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া সহ অন্যান্যরা ছিলেন। পরে মালদহ জেলা কালেক্টরেটের কনফারেন্স হলে আয়োজিত বৈঠকে মন্ত্রী যোগ দেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, আমি এদিন পুরাতন মালদহের মুচিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলি। মুখ্যমন্ত্রীর উপর চাষিদের ভরসা রয়েছে। বিপদের তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় আমরা সচেষ্ট রয়েছি। জেলায় আরও পাঁচটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার এবং আইসোলেশন সেন্টার হয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা এদিন আমাকে জানিয়েছেন।
রাজীববাবু আরও বলেন, উম-পুনে সুন্দরবনে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাঘ যাতে জঙ্গল থেকে লোকালয়ে প্রবেশ করতে না পারে তারজন্য সুন্দরবনে বিশেষ বেড়া দেওয়া হয়েছিল। ১৮০ কিলোমিটার ওই বিশেষ বেড়ার মধ্যে ১৩২ কিলোমিটার বেড়া ধংস হয়ে গিয়েছে। বনদপ্তরের কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীরা তা মেরামতের চেষ্টা করছেন। রাজ্যজুড়ে এক হাজার ৬০০ বর্গকিলোমিটার বনাঞ্চল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও বহু বিট ও রেঞ্জ অফিসের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কোনও অফিসের চাল উড়েছে। কোনও ভবনের জলের ট্যাঙ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোনও কোনও জায়গায় টাওয়ার ভেঙে পড়েছে। বনের মধ্যে থাকা নদীবাঁধের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত আমরা প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট নিয়ে হিসাব কষার কাজ চলছে। চলতি সপ্তাহেই তা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জমা দেওয়া হবে।
প্রশাসন এবং কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহে এবার ৬৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছিল। জেলায় এবার বোরো চাষ হতে কিছুটা দেরি হয়। এখনও মাঠের সব ধান পাকেনি। চাষিরা পুরোপুরি ধান কেটে উঠতেও পারেননি। উম-পুনের জেরে ঝোড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টিতে প্রায় ১৬ হাজার হেক্টর জমির ধানের পুরোপুরি ও আংশিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধানের পাশাপাশি মালদহের আম এবং লিচুও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এদিকে, এদিনের বৈঠকে ডাক না পাওয়া প্রসঙ্গে বিরোধী জনপ্রতিনিধিরা প্রশ্ন তোলেন। রাজীববাবু এব্যাপারে বলেন, বিরোধীরা বিপদের দিনে মানুষের পাশে না থেকে সরকারের বিরোধিতা করতে ব্যস্ত রয়েছে। এদিন আমন্ত্রণপত্র ছাপিয়ে বৈঠক করা হয়নি। ফলে মুষ্টিমেয় কয়েকজন জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি আধিকারিকরা বৈঠকে অংশ নেন।