বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
মালিয়াড়ার পোস্টমাস্টার সুরজিৎ দে বলেন, বাজ পড়ে আমাদের নিজস্ব সার্ভার নষ্ট হওয়ার পরেই বিষয়টি জেলা স্তরে জানিয়েছি। তাঁরা সার্ভারের দায়িত্বে থাকা সংস্থার কর্মীদের বিষয়টি জানান। কিন্তু, ওই সংস্থার কর্মীরা লকডাউনের কারণে আসতে পারছেন না। তাই সার্ভার মেরামত সম্ভব হচ্ছে না। তবে মানুষের অসুবিধা দূর করতে আমরা বড়জোড়া থেকে গ্রাহকদের কাজ যতটা সম্ভব দ্রুত করে আনার চেষ্টা চালাচ্ছি। আশা করছি, কয়েক দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মালিয়াড়া সাব পোস্টঅফিস থেকে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা ছাড়াও আরও কয়েকটি গ্রামের মানুষ পরিষেবা পান। সব মিলিয়ে ওই ডাকঘরে বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয় প্রকল্প, আমানত, পেনশনের আওতায় প্রায় সাত হাজারের বেশি গ্রাহক রয়েছেন। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৫০ থেকে ১৭০ জন গ্রাহক পরিষেবার জন্য ডাকঘরে হাজির হন। বছর খানেক আগে ডাকবিভাগের মূল সার্ভারের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে অনলাইনে পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু, ৭ মে ঝড়বৃষ্টির সময় বাজ পড়ে সাব পোস্ট অফিসের সার্ভার নষ্ট হয়ে যায়। তারপর থেকেই মালিয়াড়া শাখা থেকে সমস্ত লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়। এরফলে পেনশন, এমআইএস, মেয়াদ শেষে স্থায়ী আমানতের টাকা তুলতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন গ্রাহকরা।
মালিয়াড়ার প্রবীণ নাগরিক হারাধন দত্ত বলেন, আমি দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত। বেশি হাঁটাচলা করতে পারি না। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর এমআইএস এর টাকাতেই আমার সংসার চলে। কোনও পেনশন পাই না। যতটুকু সঞ্চয় ছিল, তা এই ডাকঘরেই এমআইএস করা আছে। কিন্তু, সেই টাকা তুলতে না পারায় সমস্যায় পড়েছি।