বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
আলিপুরদুয়ার-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেসের অনুপ দাস বলেন, সোমবারের রাতের ঝড়ে ব্লকে প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রচুর কাঁচাবাড়ি, বেশকিছু প্রাথমিক স্কুল, সব্জি ও বোরো ধানের খেত ক্ষতি হয়েছে। ব্লক থেকে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব আমরা জেলায় পাঠিয়ে দিয়েছি । দুর্গতদের ইতিমধ্যেই ত্রিপল ও অন্যান্য ত্রাণ দেওয়া হয়েছে।
ওই রাতের ঝড়ে আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের ন’টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৩৫টি গ্রামের ১৪২৭টি কাঁচা ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ঝড়ের তাণ্ডবে ব্লকের ন’টি প্রাথমিক স্কুলের টিনের চাল ও শৌচাগারের শেড উড়ে গিয়েছে। ব্লকের প্রায় ১৬৫ একর জমির বোরো ধান খেত তছনছ হয়েছে। এছাড়াও বিঘার পর বিঘা জমির সব্জির সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
যদিও এলাকার জেলা পরিষদ সদস্য তথা তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার-২ ব্লক সভাপতি দেবজিৎ সরকার ব্লক প্রশাসনের কাছে পাঠানো ক্ষয়ক্ষতির তালিকার সঙ্গে একমত নন। দেবজিৎবাবু বলেন, ব্লক প্রশাসন ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির টাকার অঙ্কের যে হিসেব জেলায় পাঠিয়েছে তারসঙ্গে আমি একমত নই। ঝড়ে ব্লকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেড় কোটি টাকারও বেশি।
ওই রাতে ফালাকাটা ব্লকের ময়রারডাঙা, জটেশ্বর-১, ২, দেওগাঁ ও দলগাঁও গ্রাম পঞ্চায়ত এলাকাতেও ঝড় হয়। ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, পাঁচটি পঞ্চায়েত এলাকায় ২০০টি কাঁচাবাড়ি ধুলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। ফালাকাটার পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকার পাট, ভুট্টা, তিল ও অন্যান্য সব্জির ব্যপাক ক্ষতি হয়েছে। কয়েকশো বিঘা পাট গাছ মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়ায় পাট চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে।
ফালাকাটার বিডিও সুপ্রতীক মজুমদার বলেন, ঝড়ে পাঁচটি পঞ্চায়েতে শতাধিক কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়েছে। পাট সহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমরা দ্রুত ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করে জেলায় পাঠাব।
ঝড়ে দু’টি ব্লকে সব্জি ক্ষেতেরই বেশি ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে মাচা জাতীয় সব্জি ঝিঙে, পটল, শশা, পুঁই, বিনস, করলা খেতের ভীষণ ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টির জলে পচে গিয়ে ওইসব সব্জি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জেলা কৃষি দপ্তরের সহ কৃষি অধিকর্তা হরিশ চন্দ্র রায় বলেন, ঝড়ে মাচার সব্জিতে বেশি প্রভাব পড়েছে। কিছু জমিতে জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় পাটেরও ক্ষতি হয়েছে। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।