বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, জেলায় প্রতিদিনই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বৃদ্ধির কাজ চলছে। প্রচুর মানুষকে এখনও পর্যন্ত ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রেখে ছাড়া হয়েছে। আমরা সমস্ত দিকে নজর রেখে করোনা মোকাবিলার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
বাইরে না যাওয়া কোচবিহার জেলায় এখনও পর্যন্ত স্থানীয় কোনও মানুষের দেহে করোনা ভাইরাস মেলেনি। যে দু’জনের সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল তাঁদের মধ্যে একজনকে মৃত অবস্থায় অন্য রাজ্য থেকে এখানে নিয়ে আসা হয়েছিল। অপরজন ওই ব্যক্তিরই বাবা। তিনি এখন শিলিগুড়ির কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার সময় থেকেই জেলা প্রশাসন অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে তা মোকাবিলায় নেমেছে। কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজের ফিভার ক্লিনিককে আলাদা করা হয়। আশাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি পাঠিয়ে জ্বর, সর্দি, কাশির উপসর্গ যুক্ত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়ে যায়। চলে থার্মাল চেকিংও। জেলায় ক্যাম্প করে, ভ্রাম্যমান অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করার কাজ অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে করা হয়।
জেলা প্রশাসনের দেওয়া রিপোর্ট বলছে, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলায় ৫৫৩৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ৩৬৩৮টির রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। বাকি রিপোর্ট এখনও আসেনি।
জেলার সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে। চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে ৩০০০ মানুষকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের অসম সীমান্তের সংকোশে এবং ওই ব্লকেরই লাঙ্গলগ্রাম, কাশিয়াবাড়ি, মানসাইয়ে ৫৪ হাজারেরও বেশি লোককে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। বিভিন্ন ভবন, স্টেডিয়াম, হাসপাতাল, লজ, কলেজ, গেস্ট হাউসকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছে। পিপিই, এন-৯৫ মাস্ক, থ্রি লেয়ার মাস্ক, টু লেয়ার গ্রিনমাস্ক, ডিসপোসাল গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার পর্যাপ্ত পরিমাণে মেডিক্যালে, ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ স্টোর ও কোভিড হাসপাতালে মজুত করা রয়েছে।