বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
আর মাত্র তিনদিন পর সরকারিভাবে বর্ষার মরশুম শুরু হবে। তা চলবে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত। এবার কিন্তু মে মাসেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, গতবছর মে মাসে তেমন বৃষ্টি হয়নি। এবার ১ মে থেকে ২২ মে পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই ক’দিনে মোট বৃষ্টির পরিমাণ ২৪০.৮ মিলিমিটার। গড় বৃষ্টির পরিমাণ ১৪.২ মিলিমিটার। এরজেরেই শিলিগুড়ি শহর ও আশপাশের নিচু এলাকা, ডোবা, খাল, নালা, আনাচেকানাচে পড়ে থাকা পরিত্যক্ত পাত্র, গ্যারেজে থাকা টায়ারে জল জমে থাকছে।
এ নিয়ে বিভিন্ন মহলের বক্তব্য, শিলিগুড়ি ডেঙ্গুপ্রবণ বলেই চিহ্নিত। গত বছর অক্টোবর মাসে টানা কিছুদিন বৃষ্টি হওয়ার পর কয়েকজন ডেঙ্গুতে মারা যান। হাজারেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। বিগত বছরের পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার এখনই ডেঙ্গু দমনে পুরসভা ও প্রশাসনের ময়দানে নামা উচিত। এ জন্য এখনই হাইড্রেন, নালা, খাল ও জঙ্গল নিয়মিত সাফাই করতে এবং মশার আঁতুরঘর ভাঙতে হবে। মশা মারার তেল ও ধোঁয়া স্প্রে শুরু করতে হবে। তা না হলে ভারী বর্ষায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে পারে।
তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, ডেঙ্গু দমনের ব্যাপারে অনেক আগেই ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি পুরসভার কাছে জানিয়ে ছিলাম। বর্ষা নামতে চললেও মশার বংশ নিধনে পুরসভার তৎপরতা নজরে পড়ছে না। তবে এখন সকলেই কোভিড পরিস্থিতির মোকাবিলায় ব্যস্ত। তা হলেও কোভিডের পাশাপাশি ডেঙ্গু নিয়েও পুরসভাকে সক্রিয় হতে হবে।
এদিকে, কয়েক মাস আগে ডেঙ্গু দমনে প্রচার অভিযানে নামার প্রস্তুতি নিয়েও পুরসভা তা বাস্তবায়িত করতে পারেনি। পুরসভা সূত্রের খবর, ডেঙ্গু দমনে প্রস্তুতি নেওয়ার সময়ই কোভিড পরিস্থিতি তৈরি হয়। যারফলে ১৩৩টি ভেক্টর কন্ট্রোল টিমের (ভিসিটি) সদস্যরা এখন বিভিন্ন এলাকায় জীবাণুনাশক স্প্রে করার কাজে ব্যস্ত। তারা আলাদাভাবে মশার বংশ নিধনের জন্য মশা মারার তেল স্প্রে করা, জমা জল বের করা, প্রচার অভিযান চালানোর কাজ করতে পারছে না।
পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের এক সদস্য বলেন, এবার এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গু দমনের ব্যাপারে রাজ্য সরকার নির্দেশিকা প্রকাশ করেনি। তাছাড়া কোভিডের পাশাপাশি, মশার বংশ নিধনের কাজ করতে গেলে আরও লোকবল দরকার। কাজেই রাজ্য সরকার নির্দেশ জারি করার পর এই কাজ সুপরিকল্পিতভাবে করা সম্ভব হবে। কাজেই পুরসভার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ঠিক নয়।