বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
বন বিভাগের লোকজন আরও লক্ষ্য করেছেন, উম-পুন বয়ে যাওয়ার পর জঙ্গলে মাইলের পর মাইল দুর্লভ সুন্দরী, কেওড়া, বাইন, ধুধুল, পশুর, কাঁকড়ার পাতা পুড়ে গিয়েছে। শুকিয়ে গিয়েছে ডালপালাও। প্রশাসন ও বন বিভাগের আশঙ্কা, জঙ্গলের যে ক্ষতি হয়েছে তাতে আগামী দিনে এমন বড় সাইক্লোন হলে সুন্দরবনের বাদাবনের সুরক্ষাবলয় কাজে আসবে না। তখন সরাসরি সেই ঝড়ের দাপট দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার উপর দিয়ে এসে আছড়ে পড়বে কলকাতা শহরের উপর। তাতে তিলোত্তমার অনেকটাই তছনছ হয়ে যেতে পারে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত ২০০৯ সালের আইলার তাণ্ডবে সুন্দরবনের দুই জেলার বেশ কয়েকটি ব্লক ভয়ঙ্কর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কলকাতার উপর সেই ঝড়ের কিছুটা ধাক্কা সে সময় টের পাওয়া গিয়েছিল। তবে আইলাকে বাদাবনের প্রাচীর রুখে দেওয়াতে তাণ্ডবলীলা সেভাবে বিস্তারলাভ করতে পারেনি। উম-পুনের সময় সুন্দরবনের এই প্রাচীর কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। কিন্তু কেন এমন হল? সুন্দরবনের বাসিন্দাদের কথায়, এখন সাগর, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা, ক্যানিং, বাসন্তী, গোসাবা, কুলতলি থেকে জয়নগর, সব জায়গায় নদী লাগোয়া বিঘের পর বিঘে বাদাবন কেটে সাফ করে সেখানে চিংড়ি ও কাঁকড়া চাষের লোনা জলের ভেড়ি তৈরি হয়েছে। কোথাও নদীর চর জেগে উঠলে সেখানে বাদাবন তৈরি না করে বালি তোলা হচ্ছে। তা থেকে লাখ লাখ টাকা মুনাফা হচ্ছে। কোথাও নদীর মুখ বন্ধ করে ট্রলার ও নৌকা মেরামতের জায়গা তৈরি হচ্ছে। ঝড়খালিতে একশো একরের বাদাবন কেটে সাফ করে দখল করা হয়েছে। তা নিয়ে গ্রিন বেঞ্চে মামলাও চলছে। এসবের জেরেই এই পরিণতি।