বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
চন্দননগর পুরসভার কমিশনার স্বপনকুমার কুণ্ডু বলেন, ঝড়বৃষ্টির কারণে জমা জলের উৎস খোঁজার জন্য অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়ে কর্মীদের কাজ করতে বলা হয়েছে। শহরজুড়ে ডেঙ্গুর লার্ভা নষ্ট করার কাজে যাঁরা যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের আমরা বিষয়টি নজরে রাখতে বলেছি। বাসিন্দাদের সচেতন করার কাজও করা হচ্ছে।
চুঁচুড়া পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য তথা বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যান অমিত রায় বলেন, আমরা ঝড়বৃষ্টির জমা জল নিয়ে সতর্ক আছি। প্রশাসনের তরফেও এবিষয়ে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। ডেঙ্গু মশার প্রজনন রোধে কয়েক দফায় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। মশার উৎস চিহ্নিত করার কাজ আমরা বিভিন্ন পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের দিয়ে করাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, হুগলি জেলাজুড়ে করোনা উদ্বেগের মাঝেই জেলায় ডেঙ্গু সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ জাঁকিয়ে বসে। জেলার শ্রীরামপুর, সিঙ্গুর সহ একাধিক জায়গা থেকে ডেঙ্গু সংক্রমণের খবর মিলেছিল এপ্রিল মাসেই। তারপরেই জেলা প্রশাসনের তরফে বিশেষ বৈঠক ডেকে পুরসভা ও পঞ্চায়েতগুলিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। শুরু হয়ে যায় ডেঙ্গু প্রতিরোধের কাজ। এরই মধ্যেই জেলায় উম-পুন থাবা বসায়। করোনা মোকাবিলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে গোটা জেলা। সেই পরিস্থিতি কিছুটা সামলে উঠতেই আবার দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বেগ। উম-পুনের জমা জলে ডেঙ্গু মশার লার্ভা জন্মানোর আশঙ্কা রয়েছে। ফলে জমা জলের খুঁজে বের করে তা নষ্ট করার জন্য প্রশাসনের তরফে তৎপরতা শুরু হয়েছে।
গুপ্তিপাড়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিশ্বজিৎ নাগ বলেন, আমরা ডেঙ্গু নিয়ে আগে থেকেই সতর্ক ছিলাম। ঝড়বৃষ্টির কারণে জমা জলের বিষয়টি নিয়েই পরিকল্পনা করা হয়েছে। জনসচেতনতা গড়ার কাজও আমরা করছি। মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করছি, এরপর ডেঙ্গুর আক্রমণ শুরু হলে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। তাই সকলকে বাড়ির আশাপাশে জমা জল ফেলে দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।