মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
ইংলিশবাজার থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাস বলেন, ব্যাঙ্কে হানা দেওয়া ডাকাতদলের সঙ্গে অভিজিতের লিঙ্ক রয়েছে। একই ভবনে ব্যাঙ্কের নীচের তলায় অভিজিতের কাকার ওষুধের দোকান রয়েছে। সেই সূত্রে সে ঘটনার বেশ কিছুদিন আগে থেকে এলাকায় রেইকি করছিল। ঘটনার রাতে সে সন্দেহজনক অবস্থায় এলাকায় ঘোরাফেরা করছিল। অনেক রাত পর্যন্ত তাকে ব্যাঙ্কের সামনে দেখা গিয়েছে। আটক করার পর আমরা তাকে জেরা করি। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সে ডাকাতদলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছে। ধৃতকে জেরার জন্য মালদহ আদালতে তুলে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। দ্রুত ডাকাতদলের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা যাবে বলে আমরা আশা করছি।
উল্লেখ্য, গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ইংলিশবাজার শহরের ঝলঝলিয়া এলাকায় একটি রাস্টায়ত্ত ব্যাঙ্কে ডাকাতদল হানা দেয়। দুষ্কৃতীরা ব্যাঙ্কের ছাদের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। পাশাপাশি তারা পরপর দুটি সাটার ভেঙে ফেলে। গ্যাস কাটারের সাহায্যে ব্যাঙ্কের ভল্ট ভাঙারও চেষ্টা করে। যদিও তা ভাঙতে তারা ব্যর্থ হয়। শেষে সিসিটিভি এবং ইন্টারনেট সংযোগের যন্ত্রাংশ চুরি করে তারা পালিয়ে যায়। যাওয়ার আগে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ভেঙে ফেলে। সিসিটিভির ফুটেজও হাপিশ করে দেয়। ওই ঘটনার পর শহরজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ব্যাঙ্কের সংশ্লিষ্ট শাখাটি স্টেশন রোডের উপর অবস্থিত। ঘটনাস্থল থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে মালদহ টাউন রেল স্টেশন রয়েছে। ফলে ওই জনবহুল এলাকায় ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয় কেউ জড়িত রয়েছে বলে প্রথম থেকেই পুলিস সন্দেহ করে আসছিল।
এদিকে, ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ফুটেজ না থাকায় প্রথম দিকে পুলিসের কিছুটা ‘আঁধার ঘরে সাপ ধরার’ মতো অবস্থা হয়। পরে এলাকার একটি হোটেলে থাকা ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ পুলিসের হাতে আসে। তারপর তদন্তে গতি আসে। সেই ফুটেজে অভিজিৎকে পুলিস দেখতে পায়। অভিজিতের নাগাল পেতে তার কাকাকে পুলিস আটক করে। কাকাকে জেরা করে অভিজিতের সন্ধান পাওয়া যায়।
ইংলিশবাজার থানার এক আধিকারিক বলেন, বসিরহাটে বাড়ি হওয়া সত্ত্বেও অভিজিৎ গত পাঁচ-ছয় মাস ধরে শিলিগুড়িতেই ছিল। সে ডাকাতদলকে এলাকা চিনিয়ে দেওয়ার কাজ করত। একইসঙ্গে টার্গেটে রেইকি করার কাজও সে করত। ডাকাতদলের পাণ্ডারা ভিনরাজ্যের বলেই আমাদের মনে হচ্ছে। তারজন্যই এরাজ্যের বাসিন্দা অভিজিতকে তারা কাজে লাগিয়েছিল। ডাকাতদের গ্রেপ্তার করলে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।