মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, একশ দিনের কাজ প্রকল্পে তৈরী হওয়ার কথা ছিল ওই রাস্তাটি। কিন্তু রাস্তাটি এখনও তৈরি হয়নি। কেবল পড়ে রয়েছে কাজের তথ্য সম্বলিত ফলক। তাই এদিন অফিস টাইমে হরিরামপুরের মনোহরা গ্রামের বাসিন্দারা ইটাহার-দৌলতপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভ প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চললেও ঘটনাস্থলে কোনও প্রশাসনিক কর্তাকে দেখা যায়নি। ঘটনার খবর পেয়ে হরিরামপুর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তারা এলাকায় কিছুক্ষণ থেকে আবার ফিরেও যায়। অফিসটাইমে দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধে আটকে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। পাশাপাশি এদিন হরিরামপুরে হাট ছিল। সেই হাটে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে ব্যবসায়ীরা সেই পথ অবরোধে আটকে পড়েন। অবশেষে হরিরামপুর ব্লক প্রশাসনের তরফে আশ্বাস পেয়ে পথ অবরোধ তুলে নেন অবরোধকারীরা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রায় দু’বছর আগে মনোহরা এলাকায় প্রায় এক কিমি দীর্ঘ ঢালাই রাস্তা তৈরি করার জন্য পঞ্চায়েত সমিতির মাধ্যমে প্রকল্প গৃহীত হয়। একশো দিনের কাজে রাস্তা সংস্কার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদার সংস্থা শুধুমাত্র কাজের বোর্ড লাগিয়ে উধাও হয়ে যায়। রাস্তার কোনও কাজ হয়নি। ব্লক প্রশাসনকে বিহয়টি আগে জানালেও কাজ হয়নি।
এলাকার বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা কামাল বলেন, ওই রাস্তা নিয়ে একাধিকবার আমরা স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানালেও কোনও কাজ হয়নি। একশো দিনের কাজে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রাস্তাটি তৈরি করার কথা লেখা রয়েছে। ৮৮৪ জন আনস্কিল্ড লেবার ও ৮৮৪ জন স্কিল্ড লেবারের কাজ করার কথাও লেখা রয়েছে। কিন্তু কাজ কবে শেষ হবে, তা লেখা নেই। গ্রামীণ রাস্তার পরিস্থিতি খুবই খারাপ। রাস্তা তৈরি না হলে গ্রামবাসী বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে।
এলাকাবাসী ফাতেমা খাতুন বলেন, আমাদের গ্রামে কেউ অসুস্থ হলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে গ্রামে কোনও গাড়ি ঢুকতে পারছে না। চরম দুর্ভোগের মধ্যে আমরা রয়েছি। আমাদের রাস্তা তৈরি না হলে আমরা ছাড়ব না। একশো দিনের কাজেই রাস্তা তৈরি করতে হবে।
হরিরামপুর ব্লকের বিডিও শ্রীমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাস্তা কোথায় বেহাল রয়েছে, সে বিষয় আমার জানা নেই। গ্রামবাসী তাদের সমস্যা নিয়ে আসলে বিষয়টি দেখা হবে।
হরিরামপুর বিধানসভার সিপিএম বিধায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, পঞ্চায়েত সমিতি রাস্তা তৈরি করার জন্য ঠিকাদার সংস্থাকে দিয়ে ফলক লাগলেও মনোহরার রাস্তার কাজ হয়নি। আমি কলকাতায় বিধানসভায় রয়েছি। পথ অবরোধ সম্পর্কে কিছু জানি না। হরিরামপুরে ফিরে গ্রামবাসীদের দাবি পূরণের জন্য বিডিও ও জেলা শাসকের সঙ্গে কথা বলব।
কি কারণে একশো দিন প্রকল্পে রাস্তা তৈরি হলো না, টাকা কোথায় গেল ইত্যাদি প্রশ্ন তুলে এদিন গ্রামবাসীরা স্লোগান দিতে থাকেন। আগামী দিনে রাস্তার দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। বিধানসভা থেকে ফিরে গ্রামবাসীদের হয়ে জেলা প্ৰশাসনের কাছে রাস্তা তৈরির আর্জি জানাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিধায়ক।