মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
এরআগে ২০১৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর ঋষপে রাস্তার পাশে একটি জলাধারে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারকে জল খেতে দেখেছিলেন আনমোল ছেত্রি নামে এক গাড়ি চালক। তিনি তাঁর ক্যামেরায় বাঘের ছবি বন্দিও করেছিলেন। বিষয়টি সেবার সামনে আসতেই রাজ্যজুড়ে হইচই পড়ে যায়। এরপর বনদপ্তর জঙ্গলের বিভিন্ন এলাকায় ট্র্যাপ ক্যামেরা বসায়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় ওসব ক্যামেরায় বাঘের ছবি ধরা পড়ে। ফের ট্র্যাপ ক্যামেরায় বাঘের ছবি ধরা পড়ায় বনদপ্তর স্বস্তিতে যে জঙ্গলে থাকা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারটি নিরাপদে রয়েছে।
বনদপ্তরের গোরুমারা বন্যপ্রাণ শাখার ডিএফও নিশা গোস্বামী বলেন, ক্যামেরায় বন্দি হওয়া বাঘের ছবি সম্পর্কে জেনেছি। নেওড়াভ্যালি জাতীয় উদ্যানে থাকা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারটি যে সুরক্ষিত আছে সেটা আমাদের স্বস্তি দিল।
গতবছর ১৮ ডিসেম্বর ট্র্যাপ ক্যামেরায় বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বাঘের বেশ কয়েকটি ছবি ওঠে। নেওড়ায় ১৪ ফেরিতে বাঘের ছবি তখন ধরা পড়েছিল। ২০১৭-২০১৯ সাল পর্যন্ত নেওড়ার জঙ্গলে রাখা ট্র্যাপ ক্যামেরায় বিভিন্ন উচ্চতায় বেশ কয়েকটি বাঘের ছবি ধরা পড়ে। গতবছরের ১৮ ডিসেম্বর নেওড়ায় থাকা ট্র্যাপ ক্যামেরার তিনটি কোণ থেকে বাঘের ছবি ধরা পড়ে। একটি ছবিতে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের উপস্থিতি স্পষ্ট হয়। কালিম্পং জেলার নেওড়াভ্যালি জলপাইগুড়ির গোরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগ থেকে দেখা হয়। নেওড়ার সর্বোচ্চ উচ্চতা রাচেলা ডাণ্ডা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ হাজার ৮০০ ফুট উপরে অবস্থিত। ওই এলাকার বহু জায়গায় দিনের বেলাতেও সূর্যের আলো পৌঁছয় না। ২০১৭-২০১৯ সাল পর্যন্ত যেক’টি বাঘের ছবি ট্র্যাপ ক্যামেরায় বন্দি হয়েছে তার সবক’টিই ছবিই বনদপ্তর নিজেরা এবং ডব্লুডব্লুএফ ইন্ডিয়া, ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়াতে পাঠিয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর ওঠা তিনটি ছবিও তারা সংশ্লিষ্ট জায়গায় পাঠিয়েছে। এবার ক্যামেরায় ধরা পড়া ছবিও ওসব জায়গায় পাঠাবে বলে জানিয়েছে।