মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
সমাবর্তনে রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কি না তা নিয়েই ক’দিন ধরে বিতর্ক চলছিল। এনিয়ে রাজ্যপালের ট্যুইট ঘিরে যথেষ্ট চর্চা হয়। গোটা বিষয়টি নিয়ে গত ক’দিন ধরে আচার্যের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সংঘাত চরমে পৌঁছয়। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম থেকেই দাবি করে এসেছে, আচার্যকে তাদের তরফে সমাবর্তনের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই আমন্ত্রণ পেয়েছেন কি না সেবিষয়ে অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি।
আচার্যের অনুপস্থিতিতে এদিন উপাচার্য সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সমস্ত দায়িত্ব পালন করেন। সমাবর্তনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞানী শিবাজী রাহা। কোচবিহারের বিশিষ্ট ব্যক্তি প্রসেনজিৎ বর্মনকে পঞ্চানন বর্মা স্মারক সম্মান প্রদান করা হয়।
সমাবর্তন শেষে উপাচার্য বলেন, আমি নিয়ম ও বিধি মেনে সবকাজ করেছি। আমার পক্ষে ৭০০ কিমি দূরে বসে বলা সম্ভব নয় কেন আচার্য চিঠি পাননি। চিঠিইবা কোথায় গেল। আগামী সপ্তাহে অবশ্যই দেখা হবে চিঠিটি কোথায় গেল। বিধিতে পরিষ্কার করে বলা আছে, আচার্য না থাকলে তাঁর কাজ উপাচার্য করতে পারেন। সেটাই আমি করেছি।
পর্যটনমন্ত্রী বলেন, রাজ্যপাল পদাধিকার বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। রাজ্যপালের আসা, না আসা নিয়ে আমার কোনও মন্তব্য নেই। আমি শুনেছি,রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেটা করেছে। এদিন আমরা তিনমন্ত্রী সমাবর্তনে উপস্থিত ছিলাম।
কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল আসবেন কি না তা নিয়ে আগে থেকেই চর্চা চলছিল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বারবার দাবি করেছে, সমাবর্তন উপলক্ষে আচার্যকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এরমধ্যেই রাজ্যপাল তথা আচার্য বুধবার ট্যুইট করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন তাঁকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। ওই ট্যুইট ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধে। ফের তিনি বৃহস্পতিবার ট্যুইট করে জানান উপাচার্যকে শোকজ করা হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সেদিনই স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, সমাবর্তন কোনওভাবেই স্থগিত হবে না। কোনও চিঠি তিনি পাননি। শিক্ষামন্ত্রী বাজেট অধিবেশন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তিনি নাও আসতে পারেন।
এদিন সকাল ১১টায় সমাবর্তন শুরু হয়। এবারের সমাবর্তনে ডিলিট ও ডিএসসি সম্মান দেওয়া হয়নি। তবে ডিস্টিংগ্যুইশ টিচার অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় কোচবিহারের এবিএন শীল কলেজের বোটানির অধ্যাপক বিনোদচন্দ্র শর্মাকে। প্রথম পঞ্চানন বর্মা স্মারক সম্মান পান কোচবিহারের প্রসেজিৎ বর্মন।
৩৯ জনকে স্বর্ণ ও ৪৪ জনকে রৌপ্য পদক দেওয়া হয়েছে সমাবর্তনে। এনএসএস’র বেস্ট প্রোগ্রাম অফিসার হিসেবে কোচবিহার কলেজের তপনকুমার দাস, বেস্ট ভলান্টিয়ার্স সম্মান পান তুফানগঞ্জ কলেজের ছাত্র বিনয় দাস।