মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
হালনা মহম্মদপুরের বাসিন্দা সায়েমা বেগমের চাষের জমিতে আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে সৌরবিদ্যুতের সাহায্যে জলসেচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বরিন্দ এলাকায় এই প্রথম সৌর চালিত সেচ ব্যবস্থা চালু হল। ইতিমধ্যে সরকারি ভর্তুকিতে সৌর চালিত পাম্প সেট বসে গিয়েছে। ব্লক কৃষি দপ্তরের উদ্যোগে সেচের সমস্যা মেটাতে পরীক্ষামূলকভাবে সৌরচালিত সেচ ব্যবস্থা চালু হওয়ায় কৃষক মহলে খুশির হাওয়া ছড়িয়েছে। কৃষি আধিকারিকদের বক্তব্য, এই নতুন ব্যবস্থাপনায় কৃষকরা উপকৃত হবেন ।
এবিষয়ে পুরাতন মালদহ ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা সাইফুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, কৃষকদের জমিতে ভর্তুকিতে সৌরবিদ্যুৎ চালিত সেচ ব্যবস্থার পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। পরীক্ষামূলকভাবে আমরা ব্লকে প্রথম যাত্রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের হালনা মহম্মদপুরে এক মহিলা কৃষকের জমিতে এই সেচ ব্যবস্থা চালু করেছি। এলাকার কৃষকদেরও এব্যাপারে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে যাতে তাঁরাও নিজ নিজ জমিতে এই ব্যবস্থা চালু করেন। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে আরও কৃষকদের এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হবে। এই সেচ ব্যবস্থায় খরচ কম। একটি জায়গায় এই পরিকাঠামো গড়ে তুলেই বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে জলসেচ করা যাবে।
এবিষয়ে ওই মহিলা কৃষক সায়েমা বেগম বলেন, কৃষিদপ্তরের উদ্যোগে সৌরবিদ্যুৎ চালিত পাম্প বসাতে পেরেছি। সরকারি ভর্তুকিও পাওয়া গিয়েছে। এটি খুব ভাল উদ্যোগ। প্রশাসন আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এলাকায় সেচ সমস্যা দীর্ঘদিনের। আমরা তাই সমস্যা মেটাতে উদ্যোগ নিয়েছিলাম। পরবর্তীতে সবরকম সহযোগিতা মিলেছে। আগামী দিনে বিদ্যুতের বিলের বোঝা ছাড়াই আমরা জলসেচ করতে পারব।
এবিষয়ে যাত্রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের নুর হক বলেন, খুব ভালো উদ্যোগ। আমরা বিষয়টিকে স্বাগত জানাচ্ছি। কেননা এলাকায় সেচ নিয়ে একটা সমস্যা দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। আশা করা যাচ্ছে কৃষকরা এতে দারুণভাবে উপকৃত হবেন।
এলাকার কৃষক ফজলু মিয়াঁ বলেন, যাত্রাডাঙা বরিন্দ এলাকা। এখানে খুব অল্প সময়ে বৃষ্টির জলে চাষাবাদ করা সম্ভব হয়। বাকি দিনগুলিতে সেচের জল পাওয়া মুশকিল। এই এলাকা কৃষিনির্ভর। ধান, ভুট্টা থেকে শুরু করে আলু চাষের জন্য বিরাট এলাকা রয়েছে। তবে প্রশাসন সৌরবিদ্যুৎ চালিত সেচ ব্যবস্থা মৌজাভিত্তিক একাধিক চাষিকে পাইয়ে দিলে, সার্বিকভাবে সমস্যা মিটবে। এতে আমাদের এলাকার কয়েক হাজার চাষি উপকৃত হবেন।