আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
পাকিস্তান দারাওয়ার ইত্তেহাদ অর্গানাইজেশনের প্রধান শিবা ফকির কাচি জানিয়েছেন, ১৬ বছরের ওই নাবালিকা হুঙ্গুরু গ্রামের বাসিন্দা। বুধবার তাঁকে অপহরণ করা হয়। এরপর তাঁকে একজন বৃদ্ধের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ধর্মান্তরিত করা হয়। কাচি জানান, ওই নাবালিকাকে সামুরা এলাকার একটি ধর্মীয় স্কুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ওই বিয়ে হয়। বৃহস্পতিবার নাবালিকার বাবা-মা ওই স্কুলে ঢুকতে গেলে এক ধর্মগুরু তাঁদের বাধা দেন। কাচির অভিযোগ, ‘মেয়ে বা বোনকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে ও ধর্মান্তরিত করার বিষয়টি এখন পাকিস্তানের হিন্দু পরিবারগুলির কাছে সাধারণ ঘটনা হয়ে গিয়েছে।’ তাঁর দাবি, ওই সব পরিবারগুলি আর্থিকভাবে দুর্বল হওয়ায় আইনি লড়াইয়েও পিছিয়ে পড়ে। প্রশাসনও তাদের সাহায্য করে না। এই ধরনের পরিবারগুলিকে আইনি সাহায্য করে থাকে কাচির সংগঠন। তিনি জানান, এই লড়াই কতদিন চলবে জানেন না। কিন্তু অন্যায় ও অপরাধের বিরুদ্ধে তাঁরা লড়াই চালিয়েই যাবেন। গত বছর পাকিস্তানের হায়দরাবাদের এক হিন্দু নাবালিকাকে একইভাবে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তরিত করে এক মুসলিম ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। বুধবার হায়দরাবাদের সেশনস কোর্ট জানায়, ওই নাবালিকাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। ২০২২ সালেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। ১৪ মাস পরে এক হিন্দু নাৱালিকাকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যে তাঁকে ফের অপহরণ করা হয়। আর ওই নাবালিকার সন্ধান মেলেনি।