চণ্ডীগড়: দেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাটাই শেষ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার হরিয়ানায় ভোট প্রচারে এসে এভাবেই তোপ দাগলেন রাহুল গান্ধী। আসান্ধ আসনে প্রচারের মঞ্চ থেকে আত্মবিশ্বাসী রাহুলের দাবি, আগামী ৫ অক্টোবরের ভোটে বিজেপিকে ধরাশায়ী করে বিপুল জয় পেতে চলেছে কংগ্রেস। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ কুমারী সেলজা। ভোটপ্রচারে এই দলিত নেত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। হরিয়ানা কংগ্রেসে অন্তর্কলহের কারণে তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলেও আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। যদিও গোঁসা ভেঙে এদিন রাহুল ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুদার পাশে তাঁর উপস্থিতি কংগ্রেসকে বাড়তি অক্সিজেন দিল বলেই রাজনৈতিক মহলের মত। অন্যদিকে, ভোটপ্রচারে হরিয়ানায় পা রাখার দিনেই রাহুলকে নিশানা করেছে বিজেপি। সমালোচনায় সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনি। বিজেপির অভিযোগ, আসান্ধের কংগ্রেস প্রার্থী শামশের সিং গোগি দু’দিন আগেই প্রকাশ্যে দুর্নীতির পক্ষে সওয়াল করেছেন। এরকম একজন প্রার্থীর হয়ে ভোট চেয়ে হরিয়ানায় প্রচার শুরু করছেন রাহুল। দুর্নীতির এই আঁতাত নিয়ে কংগ্রেস ও রাহুলের অবস্থান স্পষ্ট করা উচিত। লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে সংরক্ষণ বিরোধী দাবি করে মুখ্যমন্ত্রীর তোপ, দুর্নীতির ‘চ্যাম্পিয়ন’ কংগ্রেস। দুর্নীতির মামলায় রাহুল নিজেই জামিনে বাইরে রয়েছেন। কংগ্রেস হরিয়ানায় প্রচুর লুট করেছে। আসান্ধের প্রার্থীর হয়ে প্রচার শুরু করে রাহুল কি বুঝিয়ে দিতে চাইছেন, তিনি পকেট ভরানোর এজেন্ডা নিয়ে এখানে এসেছেন?
এরইমধ্যে হরিয়ানায় গোষ্ঠী কোন্দল কাটিয়ে কংগ্রেসের ‘ঐক্যবদ্ধ’ চেহারা তুলে ধরার প্রশ্নে রাহুলের এদিনের সভা ছিল খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। মঞ্চে সেলজা, হুদা ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি উদয়ভানের উপস্থিতিতে রাহুল চড়া সুরে রাজ্যের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন, বিজেপি হরিয়ানাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধতেও ছাড়েননি তিনি। রাহুল বলেন, দেশের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাকে শেষ করে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি আমেরিকায় গিয়েছিলাম। সেখানে হরিয়ানার কয়েকজন অভিবাসীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। তাঁরা বলেন, নিজের রাজ্যে কাজ না পেয়ে ভবিষ্যতের খোঁজে আমেরিকায় চলে এসেছি।