আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
মহারাষ্ট্রের আহমেদ নগরের বিজেপি প্রার্থী সুজয় ভিকেপাতিলের অভিযোগ জমা পড়েছে নির্বাচন কমিশনে। লোকসভা ভোটে শারদ পাওয়ারের এনসিপি’র প্রার্থী নীলেশ লাঙ্কের কাছে ২৮ হাজার ৯২৯ ভোটে হেরেছেন তিনি। তেলেঙ্গানার জাহিরাবাদের বিজেপি প্রার্থী বি বি পাতিল ৪৬ হাজার ১৮৮ ভোটে হেরেছেন কংগ্রেসের সুরেশ খেতকরের কাছে। হার মেনে নিতে পারছেন না তিনি। তাই রেজাল্ট চ্যালেঞ্জ করেছেন। ইভিএমের গণনা নিয়ে বিজেপির প্রার্থীরাই প্রশ্ন তোলায় রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তুমুল জল্পনা।
রাজনীতির বিশ্লেষকদের মতে, ইভিএম হ্যাকিং নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছেন রাহুল গান্ধী সহ মহাজোট ইন্ডিয়ার একাধিক নেতা। মেশিনে ভোট হলেও ১০০ শতাংশ ভিভিপ্যাট স্লিপ গণনার দাবিও তুলেছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলায় কমিশনের কথাতেই সায় মিলেছে। অর্থাৎ ১০০ শতাংশ ভিভিপ্যাট স্লিপ গণনা নয়। তবে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, এর পরেও যদি কারও রেজাল্ট নিয়ে সন্দেহ থাকে, তাহলে ফলাফলে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানাধিকারী নির্বাচনে কমিশনে আবেদন করতে পারবেন। জানা গিয়েছে, রেজাল্ট বেরনোর সাতদিনের মধ্যে আবেদন করতে হবে। হেরে যাওয়া প্রার্থীদের পছন্দমতো বুথের ইভিএম খুলে ফের গণনা হবে। তার জন্য আবেদনকারীকে জমা করতে হবে জিএসটি সহ ৪৭ হাজার ২০০ টাকা। নতুন করে ইভিএম পরীক্ষায় যদি আগের রেজাল্টই বজায় থাকে, তাহলে আবেদনকারীরা টাকা ফেরত পাবেন না। আর রেজাল্টে ভুল বেরলে টাকা ফেরত হবে। একইসঙ্গে ফলাফল যে বদল হবে, তা বলাই বাহুল্য।
আর সেই কারণে হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কারনালের বিজেপি এমপি মনোহরলাল খাট্টরের জয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেসের প্রার্থী দিব্যাংশু বুদ্ধিরাজা। তিনি ২ লক্ষ ৩২ হাজার ৫৭৭ ভোটে হেরেছেন। ছত্তিশগড়ের কাঙ্কেরের কংগ্রেসের প্রার্থী বীরেশ ঠাকুর ১ হাজার ৮৮৪ ভোটে হেরেছেন। জিতেছেন বিজেপির ভোজরাজ নাগ।
একইভাবে অন্ধ্রপ্রদেশে জগন্মোহন রেড্ডির দল ওয়াইএসআরসিপি’র প্রার্থী বেলানা চন্দ্রশেখরও রেজাল্টে গোলমাল আছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। টিডিপির কাছে ২ লক্ষ ৪৯ হাজার ৩৫১ ভোটে হেরেছেন তিনি। কমিশন সূত্রে খবর, ১৯ জুলাইয়ের পর আবেদনকারীদের দাবিমতো ৯২টি লোকসভা বুথে ফের ইভিএম পরীক্ষা হবে। বিধানসভার ক্ষেত্রেও অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশার তিন কেন্দ্রের ২৬ বুথে নতুন করে ইভিএম গোনা হবে।