আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
চিকিৎসা খরচ যেভাবে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে, তাতে স্বাস্থ্যবিমা প্রত্যেকের জন্যই জরুরি। বেসরকারি হাসপাতালে হপ্তাখানেকের জন্য ভর্তি হলেই লক্ষাধিক টাকা জলের মতো বেরিয়ে যায়। কিন্তু প্রিমিয়াম লাগাম ছাড়ালে এই মূল্যবৃদ্ধির জমানায় স্বাস্থ্যবিমার বোঝা টানা কি আম আদমির পক্ষে সম্ভব? সে নিয়ে অবশ্য মাথাব্যথা নেই কেন্দ্রের। ‘সকলের জন্য বিমা’র মতো গালভরা বাক্য আউড়েই দায় ঝেড়ে ফেলেছে তারা।
বিমা বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বিশ্বের বড় দেশগুলির কোথাও বিমার উপর করের চাপ নেই। অথচ এদেশে বিমার উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি চাপানো হয়েছে। এটাই বিশ্বে সর্বাধিক। জেনারেল ইনস্যুরেন্স কাউন্সিলের এগজিকিউটিভ কমিটির সদস্য তথা কনফেডারেশন অব জেনারেল ইনস্যুরেন্স এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনস অব ইন্ডিয়ার আহ্বায়ক কে সি লোকেশ বলেন, ‘আমেরিকা, কানাডা, ফ্রান্স, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স, তাইওয়ান, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে বিমার উপর কোনও কর নেই। মালয়েশিয়া ও চীনে ৬ শতাংশ। সিঙ্গাপুরে আগে স্বাস্থ্যবিমায় জিএসটি চালু ছিল। গত বছর থেকে সেটাও তুলে দেওয়া হয়েছে। আমাদের দাবি, সরকার যদি জিএসটি মকুব নাও করে, তবে তা অন্তত পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনুক। তাহলে প্রিমিয়ামের বোঝা কমবে। সামনেই জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক। আমরা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামের উপর চাপানো জিএসটির বোঝা কমানোর জন্য আর্জি জানিয়েছি।’ সংগঠনের সহ-আহ্বায়ক সুদীপ্ত সরকার বলেন, ‘আমরা জিএসটি কমানোর জন্য লাগাতার চেষ্টা চালাচ্ছি। দু’বছর আগে নির্মলাদেবী বৈঠকে আশ্বাস দিয়েছিলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। কিছুই হয়নি। আমরা তাই ফের সরকারের কাছে দাবি রাখছি।’
বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইআরডিএ’র তথ্য বলছে, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে স্বাস্থ্যবিমায় প্রিমিয়াম আদায় হয়েছিল ১৭ হাজার ৫২৪ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তা বেড়ে ৩৪ হাজার ৭৬৫ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা হয়। অর্থাৎ প্রায় দ্বিগুণ বাড়ে প্রিমিয়াম। আশ্চর্যের বিষয়, এই পাঁচ বছরের মধ্যে প্রতিবারই বেড়েছে প্রিমিয়াম আদায়। অথচ ২০১৯-২০ এবং ২০২১-২২ অর্থবর্ষে গ্রাহক কমেছে যথাক্রমে ১২ এবং ৪ শতাংশ হারে। এর থেকেই বোঝা যায়, বাস্তব পরিস্থিতি কতটা করুণ, বলছে সংশ্লিষ্ট মহল।