সৃজনশীল কর্মে উন্নতি ও প্রশংসালাভ। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যোগ। আধ্যাত্মিক ভাবের বৃদ্ধি ও আত্মিক তৃপ্তি। ... বিশদ
শুধুমাত্র বেকারত্ব নয়। অনুন্নয়নের চিত্র একটু ঘুরলেই চোখে পড়বে। ১০ বছর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মনোহর লাল খট্টর। তিনিই লোকসভার প্রার্থী। মনে হতেই পারে এত সেফ সিট কোথায় মিলবে? কিন্তু কারনালে প্রবল খট্টর-বিরোধী হাওয়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে গেরুয়া ব্রিগেড। ‘মুখ্যমন্ত্রী হয়েও যিনি কিছু করেননি, তিনি সাংসদ হয়ে আর আলাদা কী করবেন?’ এহেন প্রশ্নের উত্তর দিতেই হিমশিম খাচ্ছে বিজেপি। রঘুনাথ মন্দির মার্গ ধরে যে রাস্তা প্রেমনগর এলাকায় এসে থামল, সেই রাস্তাই নাকি পাকাপোক্ত হয়েছে মাত্র এক সপ্তাহ আগে।
এর সঙ্গে রয়েছে পাহাড়প্রমাণ কৃষক ইস্যু। সবমিলিয়ে ভোটের দিনকয়েক আগে চরম ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে বিজেপি। সেই কারণেই কি কারনাল এড়িয়ে যাচ্ছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি? এই চর্চা তুঙ্গে । কারণ, মঙ্গলবার পর্যন্ত একবারের জন্যও নির্বাচনী প্রচার করতে কারনাল আসেননি নরেন্দ্র মোদি। যদিও হরিয়ানার আম্বালা এবং সোনিপতে সভা করেছেন দিনকয়েক আগে। বৃহস্পতিবার হরিয়ানার অন্য আর একটি লোকসভা কেন্দ্রে সভা করার কথা তাঁর। সবমিলিয়ে প্রবল অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। শহরের সেক্টর নাইনের যেখানে বিজেপি কার্যালয়, সেখানে দলের কর্মী সঞ্জয় অবশ্য সাফাই দেওয়ার ভঙ্গিতেই বলছিলেন, ‘সবক’টি জায়গায় তো মোদিজির যাওয়া সম্ভব নয়। হরিয়ানাজুড়ে তিনি ক’বার সভা করছেন, সেটা দেখুন।’ কিন্তু লোকসভা ভোট, বিধানসভা উপনির্বাচন, মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্র—সবমিলিয়ে কারনালকে এক হিসেবে ‘হেভিওয়েট’ই বলা যায়, সেখানে শেষ লগ্নে একবারও মোদি আসবেন না? কারনালবাসীর সাফ কথা, ‘মোদির নামেই তো ভোট হচ্ছে। অথচ তিনিই যখন আসছেন না, তখন অন্য কিছু ভাবতে হবে।’
অমিত শাহের সভা, কিংবা হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নায়েবসিং সাইনির পরের পর রোড শোয়ে তাই আস্থা নেই সাধারণ মানুষের। তা বিলক্ষণ জানেন বিজেপি নেতারাও। দু’দিন আগেই তাই বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা কারনালে এসে শহরের একটি বেসরকারি হোটেলে বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বৈঠক করে গিয়েছেন। চেষ্টা চলছে, অন্তত বুদ্ধিজীবীদের মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দাদের বোঝানোর। মনোহরলাল খট্টর বিগত দশটি বছর ধরে ঠিক কী করলেন, সেই প্রশ্নও উঠছে। তাঁকে আরও আগে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দিলে বিজেপির বেশি সুবিধে হতো কি না, চর্চা চলছে সেই ব্যাপারেও। আর এরই ফাঁকে মোদির ‘গরহাজিরা’ নিয়ে রাজনৈতিক প্রচার শুরু করে দিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এই ইস্যুতেই বাজি মারতে চাইছেন কংগ্রেসের তরুণ তুর্কী প্রার্থী দিব্যাংশু বুধিরাজা। সবমিলিয়ে কারনালজুড়ে বিজেপির এখন শাখের করাত অবস্থা। এপ্রান্তে খট্টর, ওপ্রান্তে মোদি!