শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্তশত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত সাফল্য।প্রতিকার: ... বিশদ
শ্রম সংক্রান্ত ৪৪টি আইনকে জুড়ে দিয়ে চারটে ‘লেবার কোড’ তৈরির ব্যাপারে ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক। যার মধ্যে ‘লেবার কোড অন ওয়েজেস’ সংসদের সাম্প্রতিক অধিবেশনেই পাস হয়ে গিয়েছে। লোকসভায় পেশ হয়েছে কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা (অকুপেশনাল সেফটি) সংক্রান্ত লেবার কোড। সংসদের
আগামী শীতকালীন অধিবেশনেই তা পাস করাতে মরিয়া কেন্দ্র। এবার এই সামাজিক সুরক্ষা কোড বিল (সোশ্যাল সিকিউরিটি কোড বিল, ২০১৯) নিয়ে যাবতীয় বিতর্ক মিটিয়ে এটিকেও সংসদে অবিলম্বে পাস করাতে চাইছে কেন্দ্র। সামাজিক সুরক্ষা কোড বিলের উল্লিখিত প্রস্তাব যদি মেনে নেওয়া হয়, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে নিজেদের স্বয়ংশাসিত প্রাতিষ্ঠানিক বৈশিষ্ট হারাতে চলেছে ইপিএফও এবং ইএসআইসি।
সামাজিক সুরক্ষা কোড বিলের খসড়ায় কেন্দ্রীয় বোর্ডের গঠন সংক্রান্ত যে প্রস্তাব শ্রমমন্ত্রক দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে এর চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান নিয়োগ করবে কেন্দ্র সরকার। এই বোর্ডে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি থাকবেন পাঁচজন। বিভিন্ন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত ওই কেন্দ্রীয় বোর্ডে থাকবেন ১৫ জন প্রতিনিধি। এবং যেসব সংস্থায় এটি কার্যকর থাকবে, সেগুলির মালিক-কর্মচারী প্রতিনিধি হিসেবে সর্বোচ্চ ১০ জনের উপস্থিতি থাকবে ওই কেন্দ্রীয় বোর্ডে। এই মুহূর্তে প্রভিডেন্ট ফান্ডের ক্ষেত্রে একজন সেন্ট্রাল প্রভিডেন্ট ফান্ড কমিশনার থাকেন। ইপিএফও’র চেয়ারম্যানের পরেই যাঁর স্থান। সামাজিক সুরক্ষা কোড বিলের উল্লিখিত খসড়ায় এই পদটিকেই তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে বলা হয়েছে, বোর্ডের কাজকর্ম খতিয়ে দেখার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার একজন চিফ এগজিকিউটিভ অফিসারকে (সিইও) নিয়োগ করুক। একইভাবে ইএসআইসি’র ক্ষেত্রেও ডিজির পদ তুলে দিয়ে একজন সিইও এবং একজন ফিনান্সিয়াল কমিশনার নিয়োগ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে খসড়ায়। এরই পাশাপাশি দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক-কর্মচারীদের উন্নয়নের লক্ষ্যে অসংগঠিত শ্রমিক সামাজিক সুরক্ষা বোর্ড গঠনেরও প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক।