উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার নবান্নে এক প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কাজকর্ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে সেখানে। বৈঠকে ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, রাজ্য পুলিসের ডিজি রাজীব কুমার এবং অন্য কয়েকজন প্রশাসনিক কর্তা। রাজ্যের প্রত্যেকটি এলাকা থেকে মমতা বিভিন্ন সূত্রে নিয়মিত খবর পান। একাধিক অভিযোগও পেয়েছেন তিনি। সেই সূত্রে পুলিসের কাজকর্ম নিয়েও আলোচনা হয়েছে এদিন। ওই প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজীব কুমার, তুমি চেষ্টা করছ, কিন্তু স্থানীয় পুলিস সহযোগিতা করছে না। সবাই নয় অবশ্য, তাদের একাংশ। নেতাদের নামেও বদনাম করা হচ্ছে। জনগণের টাকা খাওয়ার আগে রাজনৈতিক নেতারা দশবার ভাবেন। কিন্তু স্থানীয় স্তরে কিছু অফিসার, কর্মী, যাঁরা সরকারকে ভালোবাসেন না, পুলিসের কিছু লোক টাকা খেয়ে...। এই অবস্থায় মমতার নির্দেশ, বালি-পাথরের জায়গায় টেন্ডার করে দাও, আটকে দাও অবৈধ খনি। সিআরপিএফ টাকা খেলেও তাদের ধরার অধিকার আছে পুলিসের।’
দুর্নীতি, তোলাবাজি, বেআইনি পথে ইনকাম কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের একাংশের নামে কয়লা চুরির অভিযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু সিআরপিএফ আর পুলিসের একাংশ চুরি করে টাকা খাবে, তা কোনোভাবেই টলারেট করব না। কোনও রাজনৈতিক দলের নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য হলে কলার চেপে ধরো। আইনি পথে তাদের জেলেও পাঠাও।’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অপরাধী, দুষ্কৃতীদের ধরাই পুলিসের কাজ। সেখানে কোনোরকম ভয়ের কাছে আত্মসমর্পণ না-করেই কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে।’ এনিয়ে রাজীব কুমারের কাছে প্রয়োজনীয় প্রস্তাবও চেয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, ‘এসটিএফ এবং দুর্নীতি দমন শাখাকে স্ট্রং করতে হবে। সার্বিক অদল-বদল ঘটানো হবে সিআইডিতে। মনিটরিং করতে হবে জেলায় জেলায়। রেলেও নাকা চেকিং দরকার। অস্ত্র আসছে। জিআরপি এবং আরপিএফ’কেও সজাগ থাকতে হবে।’