আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
তবে যাচাই পর্ব সেরে চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে হবে জেলাশাসকদের। এই প্রকল্পের নাম ‘বাংলার আবাস যোজনা’ হচ্ছে বলেও সূত্রের খবর। ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই রাজ্যের কোষাগার থেকে বাংলার দরিদ্র মানুষকে বাড়ি তৈরির টাকা দেওয়া শুরু করবে নবান্ন। মঙ্গলবার বোলপুরের বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা বৈঠকের পরই তা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই ঘোষণার পরেই তোড়জোড় শুরু হয়েছে। বুধবার এই সংক্রান্ত বৈঠক করে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হল মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের বৈঠকে। সেখানে যোগ দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সচিব থেকে শুরু করে প্রতিটি জেলাশাসক। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্র ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরির প্রশাসনিক ছাড়পত্র দিয়েছে, কিন্তু একটি টাকাও দেয়নি মোদি সরকার। সেই সময় এক পর্ব যাচাইয়ের কাজ চালিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছিল ন্যায্য প্রাপকদের। তবে প্রায় দু’বছর ধরে কেন্দ্র টাকা না দেওয়ায় অনেকেই মারা গিয়েছেন। অনেকেই পরিযায়ী হয়ে অন্য কোথাও থাকতে শুরু করেছেন। আবার অনেকে টাকা জোগাড় করে বাড়ি তৈরি করে ফেলেছেন। সেই কারণেই পুনরায় যাচাইয়ের প্রয়োজন বলেই এক আধিকারিক জানিয়েছেন। রাজ্যের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) মেনেই যাচাইয়ের কাজ করতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনকে।
পাশাপাশি, এদিনের বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল, বৃহস্পতিবার থেকেই দল গঠনের কাজ শুরু করতে হবে প্রতিটি জেলাকে। উপভোক্তাদের তালিকা ধরে সশরীরে যাচাই (ফিল্ড ভেরিফিকেশন) করা বাধ্যতামুলক। আধার সংযোগ নথিবদ্ধ করা হবে। চালু হবে নির্দিষ্ট পোর্টাল। যাচাইয়ের পরে সেই তালিকা পুনরায় যাচাই করা হবে।