নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: দাহোদ জেলার তোড়নি গ্রামে গাড়িতে তুলে ছ’ বছরের ছাত্রীকে ধর্ষণের পর খুন করে স্কুলেরই প্রিন্সিপাল। মাইসানার চানসমায় তন্ত্রমন্ত্রর নামে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়। বদোদরার আনগট গ্রামে এক বিবাহিত মহিলাকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণের পর হুমকি দিয়ে বলা হয়, ‘কাউকে বললে মেরে ফেলব। .....সবই গুজরাতের ঘটনা। ঘটেছে মাত্র গত কয়েকদিনে। চমকপ্রদ বিষয় হল, প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভিযুক্তরা বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। কেউ দলের যুব মোর্চার সদস্য, কারও আবার আরএসএসের সঙ্গেও যোগাযোগ রয়েছে। এমনই অভিযোগ তুলে নরেন্দ্র মোদির দলকে আক্রমণ করল কংগ্রেস। প্রশ্ন তুলল মোদির নীরবতা নিয়ে। বুধবার এআইসিসি মুখপাত্র তথা কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য শক্তিসিং গোহিল প্রশ্ন তুললেন, পশ্চিমবঙ্গ বা অন্য কোনও অবিজেপি শাসিত রাজ্যে ধর্ষণ, খুনের কোনও ঘটনা ঘটলেই বিজেপি তেড়েফুঁড়ে সমালোচনায় নামে। তাহলে গুজরাতের বেলায় কেন চুপ? খোদ প্রধানমন্ত্রীর মুখেই বা কেন কুলুপ? কেন কোনও টুইট নেই? অভিযুক্তরা বিজেপি বলেই এধরনের ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে চাইছেন? তবে কি বিজেপি করলে দুষ্কর্মের লাইসেন্স মেলে? প্রশ্ন একদা বিধানসভার বিরোধী দলনেতার।
দলের সদর দপ্তর ২৪ আকবর রোডে এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযুক্ত বিজেপির সদস্যদের ছবি দেখিয়ে তোপ দাগেন গোহিল। বলেন, গুজরাত বিধানসভাতেই পেশ করা সাম্প্রতিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজ্যে বছর বছর গণধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে। গত বছরই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ২ হাজার ২০৯টি। আর গণধর্ষণ ৩৬। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, গত তিন বছরে ১৯৪ জন অভিযুক্ত পলাতক। এর থেকেই স্পষ্ট, গুজরাতে মহিলাদের নিরাপত্তা রীতিমতো বিপন্ন। তাহলে কোন মুখে গুজরাত মডেলের গর্ব করেন প্রধানমন্ত্রী? লজ্জা হওয়া উচিত। স্কুলের বাচ্চাকে ধর্ষণ করে খুন করছে গুরুসমান শিক্ষক। ছিঃ!’