আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
আর জি কর সূত্রের খবর, আন্দোলনকারীদের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এখানকার ৫১ জন জুনিয়র ডাক্তারের বিরুদ্ধে ‘থ্রেট কালচার’-এ যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। পরে সংখ্যাটি বেড়ে ৫৯ হয়। বলা হয়, কলেজে এসে তাঁদের তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হতে হবে। এদিন ওই ৫৯ জনের মধ্যে ১২ জনকে শুনানিতে ডাকা হয়। তাঁরা আসবেন শুনে কলেজে অভিযোগকারীদের ভিড় বাড়তে থাকে। বাড়তে থাকে উত্তেজনাও। ডাঃ আশিস পান্ডে শুনানি থেকে বেরিয়ে আসতেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। অধ্যক্ষ অফিসে থাকা আধাসেনারা আশিস, নির্জন সহ ১২ জনকে কর্ডন করে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। এমন সময় ক্ষুব্ধ জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁদের পিছন পিছন যেতে থাকেন। আধাসেনারা বাঁচানোর চেষ্টা করলেও দুই অভিযুক্তকে মারধর শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
এদিকে এসএসকেএম হাসপাতালের রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন এবং আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট আয়োজিত দু’টি পৃথক অনুষ্ঠানের অনুমোদন ‘বাতিল’ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এদিন বিকেল ৫টা নাগাদ পিজি’র আরডিএ আয়োজিত ‘দ্রোহৎসব’ নামে প্রথম অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল। ইএম বাইপাস লাগোয়া একটি শপিং মলে অনুষ্ঠানটিও বাতিল হয়েছে। ধন্যধান্য অডিটোরিয়ামে ২৭ সেপ্টেম্বর হওয়ার কথা জুনিয়র ডাক্তারদের অনুষ্ঠানটির অনুমোদনও বাতিল হয়েছে বলে অভিযোগ। দু’টি বিষয়ে কলকাতা পুলিসের যুগ্ম কমিশনার (সদর) মিরাজ খালিদ বলেন, সংশ্লিষ্ট থানায় অনুমোদনের আবেদন করতে হয়। আমরা অনুমোদন চেয়ে কোনও চিঠি পাইনি। থানাও পায়নি। অন্যদিকে, এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলন করে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তাঁরা না পূরণ হওয়া বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে ফের রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠক চান। পাশাপাশি অনুষ্ঠান বাতিলের কড়া সমালোচনা করে জানান, ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টেয় এসএসকেএম হাসপাতালে অডিটোরিয়ামে তাঁদের কনভেনশন হবে। সেখানে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষিত হবে। পাশাপাশি, বিজেপির নাম করে আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি, নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ যাঁরা চরিতার্থ করতে চাইছেন, তাঁরা বিরত থাকুন।