আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
কারাদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কারা আইন অনুযায়ী কোনও বন্দি আদালতে সাজাপ্রাপ্ত হলে সেই বন্দিকে দৈনিক মজুরি দিতে হয়। সংশোধনাগারে উপস্থিত বন্দিদের রোলকল, বাগান পরিষ্কার, ফুল গাছ বসানো ও নিয়মিত পরিচর্যা, জেলের লাইব্রেরির দেখাশোনা, রন্ধনশালায় কাজ, হস্তশিল্প তৈরি ইত্যাদির কাজ করেন বন্দিরা। সেই কাজের জন্য মজুরি পান তাঁরা। কাজের মজুরি বন্দিদের নির্দিষ্ট একটি সময়ে বুঝিয়ে দেওয়ার রীতি ছিল। কিন্তু দেখা গিয়েছে, এই নিয়মে একাধিক সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। কারাদপ্তরের কর্মীদের একাংশের বক্তব্য, কোনও বন্দিকে তাঁর পাওনা টাকা দেওয়ার পর দেখা গিয়েছে, হাতে টাকা আসার পর তা দ্রুত খরচ করার মানসিকতা রয়েছে। কিন্তু সেই টাকা যদি অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে তাহলে তা তুলতে জেল কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের প্রয়োজন। ফলে এভাবে টাকা খরচে রাশ টানা যাবে। উপার্জিত অর্থ বন্দিরা সঠিকভাবে কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাৎ কষ্টার্জিত অর্থের বাজে খরচ আটকাতে বন্দিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকা জরুরি। কারার এক আধিকারিক জানান, সাজার মেয়াদ শেষে জেল ব্যাঙ্ককে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয়। তারপর সংশ্লিষ্ট বন্দির টাকা তাঁর বাড়ির কাছে কোনও ব্যাঙ্কের শাখায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। এই প্রক্রিয়া দ্রুত কার্যকর করতে উদ্যোগ নিয়েছে কারাদপ্তর।